নয়াদিল্লিঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী কার্যালয়ের এক নির্দেশিকার পরিপ্ৰেক্ষিতে সম্প্ৰতি মন্ত্ৰিসভার একটা গোষ্ঠী(জিওএম)সম্প্ৰতি দ্য প্ৰোবিশন অফ-ই-সিগারেট অর্ডিন্যান্স-২০১৯ খতিয়ে দেখেছে। এরপরই কেন্দ্ৰীয় অর্থমন্ত্ৰী নির্মলা সীতারামন ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা নিয়ে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভার অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেন বুধবার। ক্যাবিনেট বৈঠকের পর দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা ঘোষণা করেন মন্ত্ৰী।
কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভা ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে অনুমোদন জানিয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ালো এখন থেকে ই-সিগারেটের প্ৰস্তুতি,উৎপাদন,আমদানি/রপ্তানি,পরিবহণ,বিক্ৰি,বণ্টন,মজুতকরণ ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলো’-বলেন সীতারামন।
বিভিন্ন মহল থেকে ইলেকট্ৰনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম(ইএনডিএস)নিষিদ্ধ করার দাবি আসছিল। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে মন্ত্ৰিসভা ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ই-সিগারেটে যে সমস্ত সমস্ত সামগ্ৰী মেশানো রয়েছে সেগুলো হলো তাপে যে সব সামগ্ৰী জ্বলে না,ভাপে,ই শিশা,ই-নারকোটিক্স এবং অন্যান্য উপকরণ ইত্যাদি। সীতারামন বলেন,এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী করতে রাষ্ট্ৰপতির অনুমোদনের পরই সরকার একটি অর্ভিন্যান্স পাস করবে। সরকার এব্যাপারে সংসদের শীত অধিবেশনে একটি বিল আনবে-বলেন তিনি।
সীতারামন আরও বলেন,বর্তমানে কোনও ভারতীয় কোম্পানি ই-সিগারেট উৎপাদন করছে না যদিও ৪০০-টির মতো ব্ৰ্যান্ড এখানে ১৫০ ধরনের গন্ধ থাকা ই-সিগারেট উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই তাৎপরতা চালাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰের চালানো একটি পরীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে অর্থমন্ত্ৰী বলেন,২০১১-থেকে ২০১৫-১৬-এর মধ্যে ই-সিগারেটের ৯০০ শতাংশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।
তথ্য ও প্ৰযুক্তি দপ্তরের মন্ত্ৰী প্ৰকাশ জাভড়েকরও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা আলোচনার পরই তা মন্ত্ৰিসভায়ও উঠে।
ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ খুবই ভাল পদক্ষেপ বলা যায়। প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা সাধারণত ভালর জন্যই হয়ে থাকে-বলেন তিনি। ই-সিগারেট হচ্ছে ব্যাটারি চালিত ডিভাইসেস যা তাপ পেলে নিকোটিন উৎসারিত হয়। এটা আসক্তি বৃদ্ধি করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য বা লঙ্ঘন করলে প্ৰথম অপরাধীদের একবছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে বার বার একই অপরাধে জড়ালে সাজা হবে তিন বছর পর্যন্ত জেল। ই-হুক্কাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে-জানান সীতারামন।
ই-সিগারেটের সমর্থকরা বলেছিলেন,চিরাচরিত তামাক সেবনের চেয়ে ই-সিগারেটে তাদের কম ক্ষতি হচ্ছে। তবে সরকারের মতামত হল চিরাচরিত সিগারেটে যে ক্ষতি হয় ই-সিগারেটেও অনুরূপ স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ জনস্বার্থে ২২ জন দুর্নীতিগ্ৰস্ত বরিষ্ঠ অফিসারকে বলপূর্বক অবসর নিতে বাধ্য করাল মোদি সরকার
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Burglar nabbed from Duliajan’s Oil Colony Area | The Sentinel News | Assam News