লখিমপুরঃ উত্তর লখিমপুর জেলার উত্তর লখিমপুর ও বিহপুরিয়া রাজস্ব সার্কলে সুবনশিরি নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। মহাবাহু ব্ৰহ্মপুত্ৰের একটি বড় উপনদী সুবনশিরি। উত্তর লখিমপুরের তেলাহি উন্নয়ন ব্লকের অধীন লোহিত খাবালু গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তরপাড়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভাঙনের ফলে মুদৈবিল ১,মুদৈবিল ২,তেলাহিপথার,রনন্টিজান,কাহিদুয়ার,মিসিং গাঁও,এগারোমাইল,নতুন শালমরা,বরডুবি,মলুওয়াল,সানাংগ্ৰাম এবং কুহিয়ারবাড়ি ইত্যাদি অঞ্চলের প্ৰায় ২০টি-র মতো গ্ৰামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিশাল এলাকা জুড়ে নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। চাষের জমি,বসতি এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেছে। তাকম মিশিং পোরিং কেবাং-এর উত্তর লোহিত খাবালু আঞ্চলিক কমিটি আশঙ্কা প্ৰকাশ করে বলেছে,এভাবে ভাঙন চললে নদী তীরবর্তী গ্ৰামগুলো শিগগিরই একেবারে নিশ্চিত হয়ে যাবে। কমিটি অভিযোগ করেছে,ক্ষতিগ্ৰস্ত এলাকায় ভাঙন প্ৰতিরোধে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা আজ অবধি গ্ৰহণ করেনি জলসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ। মহাত্মাগান্ধী রাষ্ট্ৰীয় এমপ্লোয়মেণ্ট গ্যারেন্টি আইনের অধীনে স্থানীয় প্ৰশাসন যে স্কিমগুলি হাতে নিয়েছিল সেগুলিও রূপায়ণ করা হয়নি। তাই স্থানীয় সংগঠন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেওয়ার আগে ভাঙন রুখতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য সরকারের কাজে আর্জি জানিয়েছে। স্থানীয় মানুষ এর জন্য বিধায়ক উৎপল বরার উদাসীন মনোভাবের সমালোচনা করেছেন।
লোহিত খাবালু ছাড়াও বিহপুরিয়া রাজস্ব সার্কলের অধীন বোটমচুকেও সুবনশিরির ভাঙন রীতিমতো ত্ৰাসের সৃষ্টি করেছে। এই গ্ৰামের ভাঙন বিধ্বস্ত ১০টি পরিবার নিজেদের ঘরদোর ছেড়ে নিরাপদ আস্তানায় স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়েছে। এদের মধ্যে চারটি পরিবার সড়কের পাশে অস্থায়ী চালা বানিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এই চারটি পরিবারের সদস্যরা হলো মলয়া পেগু,খোলক পেগু,দীপজ্যোতি পেগু এবং ইন্দ্ৰেশ্বর পেগু। নদীর ভয়ঙ্কর ভাঙনে ক্ষতিগ্ৰস্ত আরও বেশকটি পরিবার গ্ৰাম ছাড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য,রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত কিছুদিন আগে ভাঙন বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করে এসেছেন। বর্তমানে যে ভাঙন সমস্যা দেখা দিয়েছে সে ব্যাপারে বিহপুরিয়ার বিধায়ক সক্ৰিয় কোনও পদক্ষেপ গ্ৰহণ না করার অভিযোগ উঠেছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ নিম্ন সুবনশিরি জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্পের কাজ ফের শুরু করার সবুজ সঙ্কেত দিল গ্ৰিন ট্ৰাইব্যুনাল