ন্যাশনাল

উত্তর প্ৰদেশে জুয়ার আড্ডায় স্ত্ৰীকে বাজি রেখে হার স্বামীর,বন্ধুদের হাতে গণধর্ষিতা স্ত্ৰী

Sentinel Digital Desk

মদ এবং জুয়ার আসক্তি যে কতটা সর্বনাশা তা আরও একবার প্ৰমাণিত হলো উত্তর প্ৰদেশের একটি জঘন্য অপরাধের ঘটনায়। মহাভারত-এর কৌরব ও পাশুবদের পাশা খেলায় শকুনির চালে এক এক করে সব হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ধর্মপুত্ৰ যুধিষ্ঠির পত্নী দ্ৰৌপদীকে বাজি রেখেছিলেন। লাঞ্ছিত,আপমানিত হয়েছিলেন দ্ৰৌপদী। কিন্তু উত্তর প্ৰদেশের ঘটনা মহাভারতের ওই নির্লজ্জ অধ্যায়কেও ছাপিয়ে গেছে। মহাভারতের ওই অধ্যায় থেকে একাংশ মানুষ কোনও শিক্ষা নিতে যে পারেনি উত্তর প্ৰদেশের এই ঘটনা তারই নজির। দেশের বুকে আজও এধরনের জঘন্য অপরাধ ঘটে চলেছে। ন্যক্কারজনক এই ঘটনা গত মাসে ঘটেছে উত্তর প্ৰদেশের জৌনপুর জেলায়। ঘটনার বিবরণে প্ৰকাশ,একজন স্বামী মদের নেশায় বুঁদ হয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে জুয়ার আড্ডায় মেতে থাকতো। ঘটনার দিন মদের নেশায় নিজের স্ত্ৰীকেও বাজি রেখে বসে ওই স্বামী। জুয়ার আড্ডায় ঘুঁটির চালে বন্ধুরা তার স্ত্ৰীকে জিতে নেয়। এরপরই বন্ধুরা মদ্যপ স্বামীর পত্নীকে গণধর্ষণ করে।

ধর্ষিতা স্ত্ৰী আদালতে অভিযোগ করেছেন,‘তাঁর স্বামী প্ৰায়ই মদের ঘোরে মাতালামি করতো। ঘটনার দিন এভাবেই গলা অবধি মদ গিলে তার স্বামী বন্ধু অনিল ও অরুণের সঙ্গে জুয়ার আড্ডায় মেতে ওঠে। গত মাসের নির্দিষ্ট ওই দিনটিতে দুই বন্ধু তাদের বাড়িতে এসে জুয়া খেলতে বসে স্বামীর সঙ্গে। এক এক করে সব খুইয়ে স্বামী তাকেও বাজি রাখে। বাজিতে হেরে বন্ধুদের হাতে তাকে সঁপে দিতে বাধ্য হয় স্বামী। পরিণতিতে তাকে গণ ধর্ষণের শিকার হতে হয়’।

স্বামীর কাছে এভাবে প্ৰতারিত হয়ে ভাঙা মন নিয়ে মহিলাটি চলে যান তার মামার বাড়ি। স্বামীও স্ত্ৰীর পিছু পিছু যেখানে গিয়ে হাজির হন। নিজের কৃতকর্মের জন্য স্ত্ৰীর কাছে ক্ষমা চান। স্বামী আরও বলেন ভুলবশত এমন ঘটনা ঘটে গেছে। এরপর স্বামীর গাড়িতে করে ফিরে আসার সময় মাঝপথে গাড়ি থামান স্বামী। কিন্তু সেখানেও বন্ধুদের হাতে আবার তাকে ধর্ষিতা হতে হয়।

মহিলাটি জাফরাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা এফআইআর নিতে অস্বীকার করে। এরপর মহিলাটি আদালতের দ্বারস্থ হন। কোর্ট ওই থানাকে মহিলার এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়।

জুয়ার আসরে স্ত্ৰীকে বাজি রাখার এমন ঘটনা একটা সামাজিক অপরাধ এবং এটা কখনোই গ্ৰহণযোগ্য নয়। এর চেয়ে নিন্দনীয় আর কিছু হতে পারে না। এই ঘটনায় স্বামী এবং তার জুয়াড়ি বন্ধুদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে কোনও স্ত্ৰীকে কোনও ব্যক্তি এভাবে অপব্যবহার ও লাঞ্ছিত করতে না পারে।