নয়াদিল্লিঃ সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটলো বুধবার। এবারের বাজেট অধিবেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করা হয় সংসদে,যা রীতিমতো এক ইতিহাস সৃষ্টি করে। বিতর্ক ও আলোচনার ভয়ে এই সমস্ত বিল এতদিন পিছনের সারিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। চলতি বাজেট অধিবেশনে যে সব ঐতিহাসিক বিল পাস করা হয়েছে সেদিকে লক্ষ্য রাখলে এবারের এই অধিবেশন সম্পূর্ণ সফল হয়েছে বলে অভিহিত করা যেতে পারে।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা,জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে দু্টো কেন্দ্ৰ শাসিত অঞ্চলে রূপায়ণ,তিন তালাক বিল,সুপ্ৰিমকোর্ট জাস্টিস বিল,‘মোটর ভেহিকলস বিল সমেত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বিল অনুমোদিত হয় চলতি বাজেট অধিবেশনে। স্বাধীনতার পর সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনকে অত্যন্ত উৎপাদনশীল বলে আখ্যায়িত করা যেতে পারে।
খবরে প্ৰকাশ,এধরনের সর্বমোট ৩০টি বিল সংসদের উভয় সদনে পাস হয়েছে এবার। গত এক দশক থেকে সংসদের অধিবেশনে এত ব্যাপক সংখ্যক বিল পাসের এটা সর্বোচ্চ রেকর্ড। ২৬৫ জন নতুন সাংসদের মধ্যে ২৪০ জন এবার সাংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থেকে বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন বিতর্কেও সাংসদদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। এবছর অধিবেশনের আরও একটা উল্লেখযোগ্য দিক হলো,৭৮ জন মহিলা সাংসদের মধ্যে ৭০ জনই অধিবেশনে উপস্থিত থেকেছেন।
লোকসভা অধিবেশন চলেছে ২৮০ ঘন্টারও বেশি সময়। এই সময়কালে ৩৬টি বিল পাস হয়েছে। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ৩০৩। জোট থাকা সত্ত্বেও বিজেপি রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু। নিম্ন সদনে বিজেপিই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কয়েকজন কংগ্ৰেস সদস্য আচমকা ইস্তফা দেওয়ায় সংসদে বিজেপিকে গরিষ্ঠতা তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। এরই সুবাদে কোনওরকম বাধার মুখে না পড়ে সংসদে অনায়াসে বিল পাস করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। সংসদে বিল পাসে মোদি সরকার যে রেকর্ড স্থাপন করলো তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার যে আপাতত যেকোনও বিল পাসে মোদি সরকারের সামনে আর কোনও বাধার প্ৰাচীর থাকছে না। তবে নির্দিষ্ট কিছু বিল নিয়ে বিরোধীরা প্ৰতিবাদ জানালেও সংসদে ওই বিলগুলো পাসে এই বাধা পর্যাপ্ত ছিল না। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্ৰেসের সদস্য সংখ্যা তলানিতে নেমে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তাই এই দল কোনও ক্ষেত্ৰেই তেমন জোরালো আওয়াজ ওঠাতে পারেনি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ৩৭০ ধারা রদঃ জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করতে কিভাবে পরিকল্পনা করেছিল মোদি সরকার