ন্যাশনাল

তেলেঙ্গানায় মহিলা বন আধিকারিককে নির্মম প্ৰহার টিআরএস কর্মীদের

Sentinel Digital Desk

তেলেঙ্গানাঃ তেলেঙ্গানার কোমরাম ভীম আসিফাবাদ জেলায় উত্তেজিত তেলেঙ্গানা রাষ্ট্ৰীয় সমিতির(টিআরএস)কর্মীরা একজন মহিলা বন আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। মহিলা বন আধিকারিক অনিতা তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোমরাম ভীম আসিফাবাদ জেলার সারফলা গ্ৰামে গিয়েছিলেন বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি দেখতে।

মহিলা বন কর্মীদের ওই গ্ৰামে গিয়ে এক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়। স্থানীয় টিআরএস বিধায়ক কোরেরু কোনাপ্পার ভাই কৃষ্ণ লাঠি দিয়ে ওই মহিলা বন আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করেন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে,উন্মত্ত জনতা ও বিধায়কের ভাই মহিলা বন অফিসার অনিতাকে তাঁর মাথায় নির্মমভাবে প্ৰহার করছে। উন্মত্তদের নির্মম প্ৰহারে গুরুতর আহত হন মহিলা বন আধিকারিক। তাঁকে ঘটনার পরপরই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই স্থানীয় বিধায়কের ভাই কোনেরু কৃষ্ণ রাওকে পুলিশ গ্ৰেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত কৃষ্ণ রাও সম্প্ৰতি কোমরাম ভীম আসিফাবাদ জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

খবরে প্ৰকাশ,সিরপুর মণ্ডলের সারসালা গ্ৰামে রবিবার বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ‘হরিথা হারাম’-এর কাজ চলছিল। বন কর্মীদের দলটি বনভূমিতে চারা গাছ লাগানোর জন্য ওখানে গিয়েছিলেন। ওখানে উপস্থিত স্থানীয় মানুষগুলো এই কর্মসূচিতে বন বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতির উদ্দেশ্য কি তা জানার পর্যন্ত কোনও চেষ্টা করেননি। উল্টে তারাও বন কর্মীদের নিগ্ৰহে জড়িয়ে পড়েন।

গণ প্ৰহারে আহত বন আধিকারিক অনিতা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার পদে বহাল রয়েছেন। তিনি ২০টি বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে ওই এলাকায় চারা গাছ রোপণের তদ্বির তদারকি করছিলেন। ওই এলাকাটিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবেই চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। ওই সময় একদল গ্ৰামবাসী ওখানে এসে বনভূমির মালিকানা স্বত্ব দাবি করে। এই নিয়েই বন কর্মীদের সঙ্গে তাদের কোন্দল বাঁধে এবং গোটা পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। দেখা দেয় টানটান উত্তেজনা। তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হয় উভয় পক্ষ।

স্থানীয় গ্ৰামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিধায়কের ভাই কোনেরু কৃষ্ণ রাও তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তার সমর্থকদের নিয়ে। এরপরই তারা বন কর্মীদের প্ৰহার করতে শুরু করে বলে অভিযোগে প্ৰকাশ।

একজন বন অফিসার বলেছেন,বন অফিসার,একজন মহিলা সেকথা বিবেচনা না করেই লাঠি ও রড নিয়ে তারা অনিতাকে ঘিরে নিয়ে আঘাত হানতে শুরু করে। বন কর্মীরা ওখানে গাছ লাগাতে গিয়েছিলেন। ‘ওই বনাঞ্চল আসলে সরকারি জমি’।