ন্যাশনাল

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে উত্তেজনা ত্রিপুরায়

Sentinel Digital Desk

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ত্রিপুরাতে। উপজাতি সংগঠনের প্রতিনিধিদলকে নিরাপত্তা- বাহিনী আটক করে রাখায় নতুন করে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হল।জানা গিয়েছে, পশ্চিম ত্রিপুরার খুমলুঙে পুলিশের গুলিতে জখম আইপিএফটি সমর্থককে দেখতে গিয়েছিল এই দলটি। তখনই তাদের ঘিরে নেয় নিরাপত্তাবাহিনী। গত 8 জানুযারি পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়া-মাধববাড়িতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উপজাতি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ নেসো (নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন) বনধ পালন করছিল।একই দিনে ছিল বামপন্থী ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা আটচল্লিশ ঘণ্টার ভারত বনধের প্রথম দিন। ফলে সকাল থেকেই ছিল উত্তেজনা। মাধববাড়িতে বনধ বিরোধিতা করতে পথে নামেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে বনধ সমর্থনকারী উপজাতিভুক্তদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন ছয় জন বনধ সমর্থক। তাদের চিকিৎসা চলছে আগরতলায়। একজনকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়।এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নেসো প্রতিনিধিরা আহত উপজাতিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। তখনই তাদের ঘিরে নেয় রক্ষীবাহিনী। এতে বিতর্ক আরও উসকে উঠল। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে মেজিস্ট্রেট পর্যায়ে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের নির্দেশ বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন উপজাতি সংগঠন সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে।অন্যদিকে, বিরোধী সিপিএমের দাবি, কেন সেদিন গুলি চালানো হয়েছিল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকারের মধ্যে ভাঙন ক্রমে বাড়ছে। সরকার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সংগঠন। এই দাবিকে সামনে রেখেই গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল আইপিএফটি।