মেঘালয়ের খনির সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ১৫ শ্ৰমিককের উদ্ধারকার্যে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট। তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও কয়লার খনিতে আটকে পড়া খননকর্মীদের এখনও উদ্ধার করা গেল না কেন, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট শীর্ষ আদালত। আটকে পড়া খননকর্মীদের উদ্ধার নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে এই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।শুনানিতে আদালত বলেছে, উদ্ধারকার্য নিয়ে সুপ্ৰিম কোৰ্ট সন্তুষ্ট নয়। তাঁরা সকলেই বেঁচে আছেন, সবাই মৃত না কি কয়েকজন জীবিত বাকিরা মৃত- সেটা বড় ব্যাপার নয়।
সবাইকে বের করে আনতে হবে। ঈশ্বরের কাছে আদালতের প্রার্থনা, তাঁরা সকলেই বেঁচে থাকুন।মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের ৩৭০ ফুট গভীর অবৈধ খনি যাকে র্যাট হোল বলা হচ্ছে, সেখানে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজের খুব সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। তাঁদের কাছে পৌঁছনোর লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা, নৌসেনা, দমকলের একাধিক দল। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পাশের একটি খনি থেকে সেখানে জল ঢুকে যাওয়ায় পৌঁছতে পারছে না উদ্ধারকারীর দল। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে- উদ্ধারকারীরা না কি জানিয়েছেন, গভীর খনি গর্ত থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। যার থেকে তাঁদের অনুমান খননকর্মীরা সকলেই মৃত।
যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।তাঁদের মত, ৪৮ ঘন্টা পাম্প বন্ধ থাাকায় গভীর খনিতে জল জমে গিয়েছে, সেই কারণেই এই দুর্গন্ধ। ওড়িশার দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর-সহ কোল ইন্ডিয়া থেকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প এনে পাশের খনি থেকে জল বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প মেশিন সহ উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছে পাম্প মেশিন প্রস্তুতকারক বেসরকারি সংস্থা।
সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনার প্রযুক্তি বিভাগকে উদ্ধারকার্যে লাগানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে নির্দেশ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়। খনিতে আটকে পড়া বা এই ধরনের উদ্ধারকাজের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর তৈরির নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।তবে উদ্ধারকাজে রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ করেছে এবং কেন্দ্রও সহায়তা করছে বলে আদালতে জানিয়েছেন মেঘালয় সরকারের আইনজীবী। এখন পৰ্যন্ত খনি গৰ্ভ থেকে মাত্ৰ তিনটি হেলমেট ছাড়া আর কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। হাল ছেড়ে দিয়েছেন আটকে পড়া শ্ৰমিকদের পরিবার পরিজনেরা। শেষ কাজের জন্য অন্তত দেহগুলো যদি পাওয়া যেত, এই অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।