ন্যাশনাল

রাফাল থাকলে লড়াইয়ের ফলই আলাদা হতোঃ মোদি

Sentinel Digital Desk

আহমেদাবাদ/জামনগরঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি বলেছেন,তিনি আবার ফিরছেন,যেহেতু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি(বিজেপি)জিতছে। একই সঙ্গে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,রাফাল লড়াকু বিমান আজ হাতে থাকলে পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দেওয়া যেতো। ‘তবে কিছু ভাববেন না-২০১৯-এ আমি আবার ফিরছি। কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছ থেকে আপনাদের যদি কিছুর প্ৰয়োজন হয়,আপনারা আমায় বলতে পারেন’। আহমেদাবাদের কাছে যশপুরে এক বিশাল সমাবেশে সোমবার কথাগুলি বলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। পাতিদার/প্যাটেল সম্প্ৰদায়ের আরাধ্য দেবী উমিয়া মাতা মন্দিরের শিলান্যাস করে এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। ওই মন্দির নির্মাণে খরচ হবে ১০০০ কোটি টাকা। এই প্ৰকল্পের জন্য উমিয়া মাতা ফাউন্ডেশন ট্ৰাস্টির সাফল্য কামনা করে মোদি বলেন,এব্যাপারে আপনাদের কোনও কিছু প্ৰয়োজন হলে আমাকে বলবেন। আমি দিল্লিতে থাকলেও সবকিছুই আপনাদের। তিনি বিশেষ করে উত্তর গুজরাটে পাতিদার সম্প্ৰদায়ের মধ্যে থাকা লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান। নিজের গৃহ শহরে দুদিনের সফরকালে সমুদ্ৰের জলকে বিশুদ্ধ পানীয় জলে রূপান্তরের জন্য একটি ডিসেলিনেশন প্ৰকল্পেরও শিলান্যাস করেন। এছাড়া ৭০০ শয্যার একটি সরকারি হাসপাতাল রাষ্ট্ৰের উদ্দেশে এদিন উৎসর্গ করেছেন মোদি। পরে শহরের পুব প্ৰান্তে ভাসট্ৰেল থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত ছয় কিমি দীর্ঘ মেট্ৰো রেলের প্ৰথম পর্যায় উদ্বোধন করেন তিনি।

জামনগরে এক সমাবেশে প্ৰধানমন্ত্ৰী ভারতীয় বায়ু সেনার জন্য রাফাল বিমান কেন প্ৰয়োজন তা ব্যাখ্যা করেন। রাফাল চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য বিরোধীদের তোপ দেগে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,বায়ুসেনার হাতে আজ এই বিমান থাকলে ২৭ ফেব্ৰুয়ারি লড়াইয়ের ফলই আলদা হতো। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,কিছু মানুষের বোধশক্তি লোপ পেতে বসেছে। আমি রাফাল-এর কথা বললে ওরা(বিরোধী)বিমান হামলার সত্যতা নিয়ে প্ৰশ্ন তোলে। সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার বদলে প্ৰতিপক্ষ আমাকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। ওরা যেকোনওভাবে আমাকে হটাতে চাইছে। এটাই ওদের চরম লক্ষ্য-বলেন মোদি। নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে গিয়ে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে তাদের এতটুকুও বাঁধছে না। সভায় উপস্থিত জনতার কাছে প্ৰশ্ন ছুড়ে দিয়ে মোদি জানতে চান সশস্ত্ৰ বাহিনীর প্ৰতি আপনাদের আস্থা আছে কিনা? আমাদের প্ৰত্যেকেরই সশস্ত্ৰ বাহিনীর ওপর আস্থা রাখা উচিত। সশস্ত্ৰ বাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে প্ৰশ্ন তোলা বা বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত নয়-বলেন মোদি।