ন্যাশনাল

স্টিম ইঞ্জিনচালিত দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের সান্ধ্যকালীন পরিষেবা চালু

Sentinel Digital Desk

গতকাল থেকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েতে সর্বপ্ৰথম স্টিম ইঞ্জিন দ্বারা চালিত তয় ট্ৰেনের সান্ধ্যকালীন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।এর দরুন পর্যটকরা শিলিগুড়িতে স্বপ্ল সময়ের জন্য থাকাকালীন দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ইউনেসকো-র বিশ্ব ঐতিহ্যমণ্ডিত দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তয় ট্ৰেন চড়ার সু্যোগ পাবেন।–সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্ৰেরণ করা এক প্ৰেস বিবৃতির মাধ্যমে এনএফ রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্ৰণবজ্যোতি শর্মা এই খবর জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান,আপ অভিমুখে যাত্ৰার জন্য দুপুর ৩টায় শিলিগুড়ি থেকে এই সফর শুরু হবে এবং বিকাল ৪.২০ মিনিটে রংটং পৌঁছবে.মাঝে যাত্ৰাপথে সুকনা-তে ১০ মিনিটের জন্য থামবে মিউজিয়াম দেখআর জন্য। এরপর পর্যটকদের কিছুটা সময় অবকাশযাপন এবং ইঞ্জিন পরিবর্তনের জন্য সান্ধ্যকালীন ডাউন পরিষেবা বিকাল ৪.৪৫ মিনিটে রংটং থেকে শুরু হবে । এই ট্ৰেনে একটি ডাইনিং কার এবং একটি প্ৰথম শ্ৰেণির কামরা থাকবে। ডাইনিং কারে ১২ জন এবং প্ৰথম শ্ৰেণির কামরাতে ১৭ জন বসতে পারবেন। আপ ও ডাউন অভিমুখে সফরের জন্য প্ৰথম শ্ৰেণির ভাড়া ১০০০ টাকা এবং ডাইনিং কারের জন্য ১২০০ টাকা। ট্ৰেনে টাকা দিয়ে স্ন্যাক্স,চা এবং অন্যান্য রেডি-টু-সার্ভ আইটেমের মতো অনবোর্ড কেটারিং পরিষেবা পাওয়া যাবে। রাউন্ড ত্ৰিপ ভিত্তিতে যাত্ৰা শুরুর স্টেশন থেকে সম্পূর্ণ যাত্ৰার জন্য টিকিট বুক করা যাবে। শুধু এক দিকের জন্য টিকইট কাটা যাবে না।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে,পর্যটকদের জন্য আরও বেশি সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা হবে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্ৰে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েতে ভিস্টাডোম কোচ এবং বাতানুকূল কোচ চালু করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে একটি প্ৰথম শ্ৰ্ৰেণির বাতানুকূল কোচ সংযোজন করা হয়েছে। ভারতে ন্যারে গেজ রেল পথে বাতানুকূল কোচ এই প্ৰথমবার চালু করা হচ্ছে। প্ৰথম শ্ৰেণির বাতানুকূল কোচগুলিতে আরও বড় এবং চওড়া জানালা রাখা হয়েছে যাতে পর্যটকরা আরও ভালভাবে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। শুধু তাই নয়,মিউজিক সিস্টেমের মাধ্যমে স্থানীয় গান বা রেডিও চালানো,আরামদায়ক ও সৌন্দর্যমণ্ডিত বসার সিটি,নতুন উন্নতমানেফ টয়লেট,এমারজেন্সিব্যাটারি ব্যাক-আপ এবং অ্যানাউন্সমেন্ট্সিস্টেম রয়েছে। একইভাবে,ভিস্টাডোম কোচগুলির আরেকটিবৈশিষ্ট হল মাথার স্বচ্ছ কাঁচের ছাদ যাতে পর্যটকরা যাত্ৰাকালীন চারদিকের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন। ভিস্টাডোম কোচে ৪০ জন বসতে পারবেন। প্ৰতিটি সিটি পুশব্যাক চেয়ার সহ ঘুর্ণায়মান। আরও বৈশিষ্ট হল স্বয়ংক্ৰিয় স্নাইডিং কামরার দরজা,একাধিক টেলিভিশন স্ক্ৰিন যাতে পর্যটকদের কাছে নানা ধরনের তথ্য তুলে ধরা হবে,দিব্যাঙ্গ যাত্ৰীদের জন্য চওড়া সাইড ডোর.জিপিএস-ভিত্তিক ইনফো সিস্টেম,এলইদি লাইট এবং আরও অনেক কিছু।

প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য,রেল মন্ত্ৰক ইতিমধ্যে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার এবং ভারতীয় রেলওয়ে পাঁচটি ঐতিহ্যশালী পার্বত্য রেলওয়ের ডিরেক্টরদের,পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞাসন্মত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও বেশি ক্ষমতা প্ৰদান করেছেন।