রাজ্যের খবর

অসমে প্ৰতি বছর ৮০ হাজার মানুষ স্ট্ৰোকে আক্ৰান্ত হচ্ছেন

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ বিশ্ব স্ট্ৰোক দিবসে জিএনআরসি হাসপাতাল নিজের স্বাস্থ্যের প্ৰতি নজর দিতে নাগরিকদের প্ৰতি আহ্বান জানিয়েছে। স্ট্ৰোক সম্পর্কে সচেতনতা বোধের প্ৰচার এবং স্ট্ৰোকের লক্ষণ চিহ্নিত করে দ্ৰুত চিকিৎসা গ্ৰহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে তারা। বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর ঘটনার প্ৰধান কারণ হচ্ছে স্ট্ৰোক-বলেছে জিএনআরসি। স্বাস্থ্যকর অসম গড়ে তুলতে স্ট্ৰোক সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্ৰয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে জিএনআরসির এই সভায়। এব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে কাজে লাগানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে স্ট্ৰোকের লক্ষণগুলি আগে চিহ্নিত করে প্ৰয়োজনীয় চিকিৎসা গ্ৰহণ করতে হবে। স্ট্ৰোকের প্ৰাথমিক লক্ষণগুলো হচ্ছে মুখ বেঁকে যাওয়া,বাহুতে দুর্বলতা,কথা অস্পষ্ট হওয়া ইত্যাদি। বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তির শরীরে এজাতীয় লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে ভর্তি করতে। এতে রোগীর কষ্ট কিছুটা লাঘব হতে পারে। বিশ্ব স্ট্ৰোক দিবসে মঙ্গলবার গুয়াহাটির জিএনআরসি হাসপাতালে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,প্ৰতি বছর সারা বিশ্বে ১৫ মিলিয়ন মানুষ স্ট্ৰোকে আক্ৰান্ত হন। অসমে বছরে পক্ষাঘাতে আক্ৰান্ত হয়ে ভোগেন ৮০ হাজার জন ব্যক্তি। বর্তমানে সারা ভারতে স্ট্ৰোকে আক্ৰান্তের সংখ্যা ক্ৰমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবনধারা এবং অন্যান্য কারণে স্ট্ৰোক হতে পারে। অ্যাফোর্ডেবল হেলথ মিশনের প্ৰতিষ্ঠাতা এবং জিএনআরসির বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. নোমল চন্দ্ৰ বরা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন,বিশ্ব স্ট্ৰোক দিবসে আসুন আমরা হাত হাত মিলিয়ে স্ট্ৰোকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাই। বিশ্ব স্ট্ৰোক দিবসে এবছরের থিম হচ্ছে আমাদের চার জনের মধ্যে একজন স্ট্ৰোকে আক্ৰান্ত হতে পারেন। এর অর্থ হচ্ছে আমাদের প্ৰত্যেক পরিবারের একজনের জীবদ্দশায় স্ট্ৰোকের ঝুঁকি রয়েছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। তবে মানুষের মধ্যে স্ট্ৰোক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে এর পরিমাণ হ্ৰাস করা যেতে পারে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Poster, Song and Teaser for the upcoming movie ‘Pratighat’ released Yesterday.