রাজ্যের খবর

সুবনশিরির ভাঙন অব্যাহত,সংকটের মুখে ঐতিহাসিক বুড়ি মা থান

Sentinel Digital Desk

লখিমপুরঃ সুবনশিরি নদীর ভাঙন উত্তর লখিমপুর রাজস্ব সার্কলের অধীন ন-আলি এবং তেলিয়াপথার এলাকায় ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। মহাবাহু ব্ৰহ্মপুত্ৰের বিশাল উপনদী সুবনশিরি। উল্লিখিত অঞ্চলগুলোতে সুবনশিরির ভাঙন ভয়ংকর রূপ নেওয়ায় নদীর নদীর দক্ষিণ তীরে ভীমপোরা-নআলি বাঁধে রীতিমতো হুমকির সৃষ্টি করেছে। নদীর অববাহিকায় থাকা উঁচু স্থান সদৃশ মিনি দ্বিপটিতে ধাক্কা মেরে নদী মূল গতিপথ পাল্টাচ্ছে। এরফলে নদীর করাল স্ৰোতে তেলিয়া পথার ও ন-আলির বিস্তীর্ণ এলাকা ভেঙে নিয়ে গেছে। এভাবে নদীর সর্বনাশা ভাঙন অব্যাহত থাকলে ওই এলাকার ঐতিহাসিক বুড়ি মা থানটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

অন্যদিকে ভীমপোরা-নআলিতে চেক ড্যামের পাশে থাকা বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের অর্ধেকটাই ভাঙনের মুখে পড়ে ওই এলাকার অনেক মানুষ ঘরদোর ছেড়ে নিরাপদ আস্তানায় স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়ে পড়েন। বিধ্বংসী ভাঙনের ফলে ভীত ও আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ নদীর এই ধ্বংস যজ্ঞ ঠেকাতে লখিমপুর জল সম্পদ বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন। যেকোনও উপায়ে নদীর ভাঙন নিয়ন্ত্ৰণ করার পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় মানুষ বিভাগটিকে অনুরোধ জানিয়েছেন। জলসম্পদ বিভাগ(ডব্লিউআরডি)সুবনশিরির ভাঙন প্ৰতিরোধে গত জুন মাসে একটি স্কিম অনুমোদন করেছিল। কিন্তু বর্ষা নেমে আসায় বিভাগ ওই স্কিমটি শেষ পর্যন্ত রূপায়ণ করতে পারেনি। তাছাড়া বিভাগটি ওই সময় স্কিমটি রূপায়ণের জন্য এগিয়ে এলেও স্থানীয় মানুষ আরও ক্ষতির আশঙ্কায় স্কিম রূপায়ণে বাগড়া দেন। স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা ছিল ভারী বর্ষার মরশুমে স্কিমটি ব্যর্থ হলে তারা চরম বিপদের মুখে পড়বেন। নদীর ভাঙন প্ৰতিরোধে বিভাগটি আরসিসি পরকিউপাইন বসানোর প্ৰস্তুতি নিয়েছিল,যেগুলো এখনও নদীর কূলে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

তবে এলাকাটিতে সমস্যা চাড়া দেওয়ার প্ৰধান কারণ হলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঠিক সময়ে স্কিম রূপায়ণের বিষয়টি আনুমোদন না করায়। বর্তমানে ভীমপোরা-ন আলি এলাকার বাঁধটি নদীর ভাঙন বিধ্বস্ত স্থান থেকে বড়জোর ১০০ মিটার দূরে রয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Indian and US Armies joint training sessions ‘Yudh Abhiyas-2019’ | The Sentinel News | Assam News