রাজ্যের খবর

ড্ৰোন প্ৰযুক্তিতে দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করল সিকিমের স্কুল

Sentinel Digital Desk

গ্যাংটকঃ সিকিমের একটি বালিকা বিদ্যালয় ড্ৰোন প্ৰযুক্তি নিয়ে দেশের সামনে এক উদাহরণ তুলে ধরতে সফল হয়েছে। স্কুলটির নাম পালজর নামগিয়াল গার্লস সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল(পিএনজিএসএসএস)। স্কুলটি এই প্ৰথমবার ইন্টার হাউস ড্ৰোন রেসিং প্ৰতিযোগিতার আয়োজন করে এবং রীতিমতো ইতিহাস সৃষ্টি করে প্ৰতিযোগিতাটি সমাপ্ত হয়। এই প্ৰতিযোগিতা আয়োজনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ছাত্ৰীদের সাম্প্ৰতিক ও আধুনিক প্ৰযুক্তি ও ড্ৰোন সম্পর্কে জ্ঞান সংগ্ৰহের সু্যোগ করে দেওয়া।

প্ৰতিযোগিতায় স্কুলের চারটি হাউসের প্ৰতিটি থেকে চারজন করে ছাত্ৰী অংশগ্ৰহণ করে। রেওং গ্ৰিন হাউস প্ৰতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্ৰফি অর্জনে সক্ষম হয়। ওই গ্ৰিন হাউসের দ্বাদশ শ্ৰেণির ছাত্ৰী প্ৰেরণা ছেত্ৰি সেরা ড্ৰোন পাইলটের পুরস্কার লাভ করে।

স্কুলটি সিকিম মণিপাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক ড. তেজবন্ত এস চিংথেমকে এই ইভেণ্টে মুখ্য অতিথি হিসেবে আমন্ত্ৰণ জানিয়েছিল। অধ্যাপক চিংথেম স্কুলের এই উদ্যোগ ও ছাত্ৰীদের মেধা ও উদ্দীপনা দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন। স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্ৰ প্ৰযুক্তি সম্পর্কে যে জ্ঞান সঞ্চয় করেছে তা প্ৰত্যাশার ঊর্ধ্বে এবং এক্ষেত্ৰে স্কুলটি একটা শক্তপোক্ত অবস্থান পৌঁছে গেছে।

অধ্যাপক চিংথেম বলেন,‘এখানে ষষ্ঠ শ্ৰেণির ছাত্ৰদের ড্ৰোনে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য দেখে আমি অভিভূত এবং উৎফুল্লিত’। প্ৰজেক্ট ইনচার্জ স্কুল এবং ছাত্ৰদের এই দূরদৃষ্টিকে অভিনন্দন জানাতেই হয়। এই উদ্যোগ রাজ্যে রীতিমতো একটা নজির সৃষ্টি করেছে-বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ড্ৰোনের ব্যাপারে লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে ভারত সরকার নীতি ঠিক করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। অধ্যাপক আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে বলেন,কুরিয়ার সেবাগুলি চিঠিপত্ৰ ও অন্যান্য সামগ্ৰী ডেলিভারি দিতে খুব শীঘ্ৰই ড্ৰোনের সু্যোগ সুবিধার কাজ লাগাতে পারবে।