রাজ্যের খবর

অসমে খুব শিগগিরই ডাক্তারের অভাব দূর করা সম্ভব হবেঃ হিমন্ত

Sentinel Digital Desk

কোকরাঝাড়ঃ অসমে আগামি কয়েক বছরের মধ্যেই ডাক্তারের অভাব মোচন করা সম্ভব হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী ড.হিমন্তবিশ্ব শর্মা সোমবার একথা বলেছেন। ২০১৯-এর প্ৰথম দিকেই রাজ্যের কোকরাঝাড়,নলবাড়ি ও তিনসুকিয়ায় তিনটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। সোমবার কোকরাঝাড়ের কাছে বেসরগাঁওয়ে প্ৰস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস স্থল পরিদর্শন ও এর গ্ৰাউন্ড রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর কথাগুলি বলেন শর্মা। এদিন শর্মার সঙ্গে ছিলেন বিটিসি প্ৰধান হাগ্ৰামা মহিলারি,রাজ্যের পর্যটন তথা ডব্লিউপিটি অ্যান্ড বিসি দপ্তরের মন্ত্ৰী চন্দন ব্ৰহ্ম এবং বিটিসি স্বাস্থ্য বিভাগের ইএম গণেশ কছারি। শর্মা এদিন কঠালগুড়ির সাই-র স্পেশাল এরিয়া গেমসে সেন্টারে অবতরণ করার পর সোজা চলে যান কোকরাঝাড়ের প্ৰস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণস্থলে। ওখানে নির্মাণের জন্য শিলান্যাসের প্ৰস্তুতির কাজ চলছে জোরকদমে।

শর্মা এখানে সাংবাদিকদের বলেন,অসম সরকার কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য ৩৮২.০৭ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। আগামি তিন বছরের মধ্যে কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন,আগামি ৬ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বিটিসি প্ৰধান হাগ্ৰামা মহিলারি কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করবেন। অনেকদিন থেকেই কোকরাঝাড়ে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের দাবি উঠেছিল। অবশেষে ওই দাবি বাস্তব রূপ নিতে চলেছে-উল্লেখ করেন শর্মা। এই মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে।

সাংবাদিকদের এক প্ৰশ্নের জবাবে শর্মা বলেন,অসমে ডাক্তারের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন,অসমে বর্তমানে ৩০০ ডাক্তার রয়েছেন। তবে এখন প্ৰতি বছরে ৬৫০ জন ডাক্তার বেরিয়ে আসবে। ডিফু মেডিক্যাল কলেজ শুরু হবার পর ডাক্তারের অভাব অনেকটাই মিটবে। আগামি ৭-৮ বছরের মধ্যে রাজ্যে ডাক্তারের অভাব থাকবে না- বলেন তিনি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ নিয়ে বিজেপি ও অগপ জোটে চিড় ধরা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে হিমন্ত বলেন,এব্যাপারে বিজেপি-র অবস্থান স্পষ্টই রয়েছে। বল এখনও পুরোপুরি অগপ-র কোর্টে। অগপ জোটে থাকবে না বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাদের। তিনি বলেন,বিজেপি ও বিপিএফ শরিক জোটে কোনই সমস্যা নেই এবং সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। ২০১৮ সালে বিজেপি বিভিন্ন ক্ষেত্ৰে সফলই হয়েছে। তবে ২০১৯ দলের কাছে একটা প্ৰত্যাহ্বানের বছর হবে বলে তিনি মনে করেন।