রাজ্যের খবর

আদর্শ প্ৰার্থী খুঁজছে কংগ্ৰেস,বিজেপি উভয় দলই

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে আগামি ১১ এপ্ৰিল অনুষ্ঠেয় প্ৰথম দফার লোকসভা নির্বাচনের জন্য ১৮ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তবে রাজ্যের দুটো প্ৰধান রাজনৈতিক দল কংগ্ৰেস এবং বিজেপি জয়ের জন্য আদর্শ প্ৰার্থীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও প্ৰস্তুত করে উঠতে পারেনি। দুটো দলই এখন আদর্শ প্ৰার্থীর খোঁজ অব্যাহত রেখেছে। এমনটা দেখা যাচ্ছে যে,উভয় দল বর্তমানে একটা প্ৰতীক্ষার নীতি নিয়ে চলছে। কোন দল কোথায় কেমন প্ৰার্থী দিচ্ছে সে বিষয়টি প্ৰথমে ঝালিয়ে নিতে চাইছে উভয়েই।

গুয়াহাটি লোকসভা কেন্দ্ৰে কাকে প্ৰার্থী করা যায় সে বিষয়ে কংগ্ৰেস কিছুটা ধন্দ্বে রয়েছে। কংগ্ৰেস গুয়াহাটি কেন্দ্ৰে দলের বাইরে থেকেও একজন আদর্শবান প্ৰার্থীর খোঁজ করছে। এব্যাপারে উভয় দল রাজ্যের বেশকয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে নির্বাচনে লড়া নিয়ে ওই সব বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে দলগুলি এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক সাড়া পায়নি। গুয়াহাটি কেন্দ্ৰের জন্য বর্তমান মঙ্গলদৈয়ের কংগ্ৰেস সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতার নামও ঘুরপাক খাচ্ছে।

বর্তমানে লোকসভায় কংগ্ৰেসের তিনজন সাংসদ রয়েছেন। তাঁরা হলেন শিলচরের সুস্মিতা দেব,কলিয়াবর কেন্দ্ৰের গৌরব গগৈ এবং স্বশাসিত জেলার(ডিফু)বীরেন সিং ইংতি। তবে সুস্মিতা ও গৌরবের প্ৰার্থিত্ব প্ৰায় নিশ্চিত হয়ে আছে। কংগ্ৰেস এবার ইংতিকে দলের প্ৰার্থী করবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। নগাঁও,লখিমপুর,করিমগঞ্জ,ধুবড়ি,বরপেটা,মঙ্গলদৈ ও যোরহাট এই সাতটি লোকসভা কেন্দ্ৰে কংগ্ৰেস কাদের প্ৰার্থী করবে তা নিয়ে দলের উপর মহল ও দলীয় কর্মীরা বিভিন্ন মত পোষণ করছেন।

ওদিকে গেরুয়া দলটির ক্ষেত্ৰেও অনুরূপ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সূত্ৰটি বলেছে,সাতজন বিজেপি সাংসদ বর্তমানে রয়েছেন। তবে শেষমুহূর্তে কোনও পরিবর্তন করা না হলে লখিমপুর লোকসভা কেন্দ্ৰে প্ৰদান বরুয়া,ডিব্ৰুগড়ে রামেশ্বর তেলির প্ৰার্থিত্ব প্ৰায় নিশ্চিত। ওদিকে মঙ্গলদৈ লোকসভা কেন্দ্ৰে রমেন ডেকা,নগাঁওয়ে রাজেন গোঁহাই,বিজয়া চক্ৰবর্তী(গুয়াহাটি)ও যোরহাটের কামাখ্যা প্ৰসাদ তাসার প্ৰার্থিত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ওদিকে অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবার তেজপুর কেন্দ্ৰ থেকে লড়তে পারেন বলে রিপোর্ট প্ৰকাশিত হয়েছে। তবে অগপ ফের জোটে ফিরে আসায় ১৬ মার্চ দিল্লিতে বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের মিটিঙে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।