রাজ্যের খবর

কর্তব্য পালনে অনন্য নজির ট্ৰাফিক কনস্টেবলের

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ আজকের যুগেও এমন কিছু মানুষ আছেন,যাঁরা শত বিপদেও কর্তব্য থেকে একচুলও সরে দাঁড়াতে চান না। সব একপাশে ঠেলে দিয়ে কাজেই ডুবে থাকতে চান। এই সব মানুষের কাছে কর্তব্য এবং কাজ যেন উপাসনা স্থল। আসুন এমনই একজন কর্তব্যনিষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই।

রবিবার ভরদুপুরে গুয়াহাটির আকাশ কালো মেঘের আস্তরণে ছেয়ে যায়। ভরদুপুরে নেমে আসে ঘোর অমানিষা। আকাশে চলছে তখন বজ্ৰ বিদ্যুতের খেলা। মেঘের ঘন ঘন গর্জনের সঙ্গে বিকট শব্দে বজ্ৰপাত হচ্ছে। পাশাপাশি আকাশ ভেঙে নেমে আসে মুষলধারে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো বাতাস। পথ চলতি মানুষ ছুটতে শুরু করেন মাথা বাঁচাতে,নিরাপদ আস্তানার খুঁজে।

মাথার ওপর দুর্যোগের ওই ঘনঘটা দেখেও ট্ৰাফিক কনস্টেবল মিঠুন দাসকে(নং ৪৪৭)দেখা গেল ঠাঁয়ে দাঁড়িয়ে নিজের কর্তব্য পালন করে যেতে। মহানগরীর বশিষ্ঠ চারালির ট্ৰাফিক পয়েন্টে ওই সময়ে ডিউটিতে ছিলেন দাস। প্ৰাণ হাতে নিয়ে মানুষ যখন পালাচ্ছেন সেইসময় অকুতোভয় এই কনস্টেবল একটুও বিচলিত না হয়ে নিজের কর্তব্য পালন করে যাচ্ছিলেন ঠাণ্ডা মাথায়। ট্ৰাফিক পয়েন্টে তাঁর মাথার ওপর কোনও ছাদ ছিল না। একবারে উন্মুক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে এভাবে কর্তব্য নিষ্ঠার নজির রাখায় তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। প্ৰবল দুর্যোগের মধ্যে ট্ৰাফিক পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তাঁর এই কর্তব্য পালনের ছবি নিমেষে সোসিয়েল মিডিয়ায় চাউর হয়ে যায়।

প্ৰবল ঝড় বৃষ্টি,বজ্ৰপাত ও ঘন অন্ধকারের মধ্যে এভাবে ঠাঁয়ে দাঁড়িয়ে কর্তব্য পালনে তাঁর কি ভয় লাগেনি-দ্য সেন্টিনেলের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হলে মিঠুন দাস বলেন,‘ভয় পেলেও আমাকে কর্তব্য তো পালন করতেই হতো। কারণ আমার কাছে কর্তব্য আগে। চারদিকে অন্ধকার ছেয়ে যাওয়ায় ট্ৰাফিক পয়েন্ট ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কারণ তাহলে ওই মুহূর্তে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো’। মিঠুন কার্বি আংলঙের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।