রাজ্যের খবর

কোকরাঝাড়ের সাংসদ নবকুমার শরনিয়ার সমালোচনা করলেন হিমন্ত

Sentinel Digital Desk

কোকরাঝাড়ঃ রাজ্যের মন্ত্ৰী তথা বিজেপি নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা শুক্ৰবার কোকরাঝাড়ের কালিপুখুরিতে শরিকদল বিপিএফ প্ৰার্থী প্ৰমীলা রানি ব্ৰহ্মের পক্ষে প্ৰচার চালানোকালে কোকরাঝাড়ের সাংসদ নবকুমার শরনিয়ার সমালোচনা করেন। অবোড়ো সুরক্ষা সমিতির সমর্থনে শরনিয়া এই কেন্দ্ৰে নির্দল হিসেবে লড়ছেন। বিভাজনবাদী এবং সাম্প্ৰদায়িক রাজনীতির জন্য শর্মা কঠোর সমালোচনা করেন শরনিয়ার। শর্মা বলেন,নির্বাচন এলেই শরনিয়া তফশিলি উপজাতির মর্যাদা সংক্ৰান্ত ইস্যুটি উত্থাপন করেন কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালে মুখে কুলুপ এঁটে নেন। হিমন্ত বলেন,অসমের ছয় জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার ক্ষমতা শরনিয়ার নেই। তাছাড়া এই বিষয়টির কর্তৃত্ব তাঁর হাতে নেই। গত পাঁচ বছরে তিনি এই ইস্যুটি সংসদে উত্থাপন করতেও ব্যর্থ হয়েছেন।

শর্মা বলেন,অগপ ও বিপিএফ-এর সঙ্গে বিজেপি সরকার এই বিষয়টি দেখার জন্য ইতিমধ্যেই কমিটি গড়েছে এবং এর পন্থাপদ্ধতি কি হবে সেই প্ৰস্তাবও সংসদে রাখা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে যারা উপজাতির মর্যাদা ভোগ করেছেন তাদের কোনও ক্ষতি না করে এই ছয় জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্ৰকে অনুমোদন জানানো হয়েছে রাজ্য মন্ত্ৰিসভা ও বিটিসির পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন,শরনিয়া এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারবেন না। কারণ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা ঝোলায় গ্ৰেপ্তারের ভয়ে শরনিয়া নিজেই শঙ্কিত। শর্মা বলেন,নিজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থেই শরনিয়া সাংসদ হতে চাইছেন,জনস্বার্থের জন্য নয়। নেডার আহ্বায়ক শর্মা আরও বলেন,কংগ্ৰেস শাসনকালে বিটিসি অঞ্চলে জাতিগত সংঘর্ষ লেগেই ছিল। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিটিসিতে কোনও সাম্প্ৰদায়িক সংঘর্ষ বাঁধেনি। সবশ্ৰেণির মানুষই এখন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন।