রাজ্যের খবর

জিএসটির হারে একাধিক সংশোধন, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি আবাসন শিল্প?

Sentinel Digital Desk

ফের সংশোধনী নিয়ে আসা হল জিএসটি তালিকায়। আগামী মে মাসে লোকসভা ভোট। তার আগেই ১ এপ্রিল থেকে নির্মীয়মাণ আবাসনে চালু হচ্ছে এই নতুন হারের কর। একই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সাধারণ রোজগেরের সাধ্যের মধ্যে থাকা বা কম দামের (অ্যাফর্ডেবল) ফ্ল্যাট-বাড়ির সংজ্ঞাও। সব মিলিয়ে আবাসন শিল্পের মন্দা কাটতে চলেছে বলেছে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।কেন্দ্রের নতুন এই সিদ্ধান্তে এক দিকে যেমন চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, অন্য দিকে তেমনই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশাও থাকছে।

সাম্প্রতিক এ্কটি রির্পোটে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের তুলনায় আবাসন শিল্পে ২০১৮-য় বিক্রি কমেছে ১০%। ফলে আবাসন শিল্পের এই মন্দা কাটিয়ে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য বাড়ি’ লক্ষ্যও পূরণেও এগনো যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করাও সরকারের কাছে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ।রবিবার জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ এপ্রিল থেকে নির্মীয়মাণ আবাসনে জিএসটি কমে হচ্ছে ৫ শতাংশ। বর্তমানে এ ধরনের ফ্ল্যাট কিনতে হলে ক্রেতাকে বাড়ির দামের ১২ শতাংশ জিএসটি হিসাবে দিতে হয়।

একই সঙ্গে সাধারণ রোজগেরের সাধ্যের মধ্যে থাকা বা কম দামের (অ্যাফর্ডেবল) ফ্ল্যাট-বাড়িতে বর্তমানে জিএসটির হার ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।রবিবার জিএসটি কাউন্সিলের ৩৩তম বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, কার্পেট এরিয়া ও দাম, দু’টি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে এই সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসন চিহ্নিত করা হয়েছে। মেট্রো শহরের ক্ষেত্রে যে সব আবাসনের কার্পেট এরিয়া ৬০ বর্গমিটারের মধ্যে বা দাম ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে, সেগুলিকে সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।এই ধরনের আবাসনের ক্ষেত্রে ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা অবধি দামের বাড়ি বা আবাসনের (শহর ভেদে বাড়ির কার্পেট এরিয়া ৯০ বর্গমিটার বা ৬০ বর্গমিটারের বেশি হওয়া চলবে না) উপর ক্রেতাকে মাত্র ১ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।

বর্তমানে দিতে হয় ৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের মত, সরকারের উদ্দেশ্য যাই হোক, জিএসটির হার কমায় আপাত ভাবে বাড়তেই পারে ফ্যাটের চাহিদা। যা গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশ নিম্নমুখী।এ ব্যাপারে নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিশির বাইজল জানিয়েছেন, “ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট উঠে গেলে কাঁচামালে মেটানো কর ফেরতের সুবিধায় ধাক্কা লাগতে পারে। তবে যাইহোক, জিএসটি হার কমার ফলে ফ্ল্যাট বিক্রির সংখ্যা বাড়বে, একই সঙ্গে বাড়বে লাভের পরিমাণও”।