রাজ্যের খবর

ত্ৰিপুরায় আশ্ৰিত ব্ৰু শরণার্থীদের মিজোরামের মামিট জেলায় ভোট দিতে বলল নির্বাচন কমিশন

Sentinel Digital Desk

ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের(ইসি)সাম্প্ৰতিক ঘোষণা অনু্যায়ী ত্ৰিপুরায় আশ্ৰিত ব্ৰু শরণার্থীরা আগামি ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার অনায়াসে প্ৰয়োগ করতে পারবেন। তবে কমিশন বলেছে,মিজোরামের মামিট জেলার কানমান গ্ৰামের ভোটকেন্দ্ৰে গিয়ে ভোট দিতে হবে ব্ৰু শরণার্থীদের।

শরণার্থীরা কোন কেন্দ্ৰে ভোট দেবেন তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেশ টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয় যে ব্ৰু শরণার্থীদের মামিট জেলার কেন্দ্ৰেই ভোট দিতে হবে। কারণ,কমিশনের মতে,মামিট জেলায়ই সর্বোচ্চ সংখ্যক পঞ্জিভুক্ত ব্ৰু ভোটার রয়েছেন।

আসন্ন মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচনে ব্ৰু শরণার্থীদের ভোটাধিকার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। কারণ উপজাতি নেতারা নিজেদের গৃহ রাজ্যে কতটা নিরাপত্তা পাবেন তা নিয়ে সুনিশ্চিত ছিলেন না। তবে কমিশন আশ্বাস দিয়েছে ভোটাধিকার প্ৰয়োগের সময়কালে ব্ৰু শরণার্থীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন ১১,২৩২ জন ব্ৰুশরণার্থী ভোটারকে ত্ৰিপুরা থেকে মিজোরামে আনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিইও কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তার বক্তব্য অনু্যায়ী ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের জানিয়েছে মিজোরাম ভূখণ্ডের ভিতর কানমান গ্ৰামে ব্ৰু শরণার্থীদের জন্য ভোটদানের ব্যবস্থা করতে। এরজন্য প্ৰস্তুতির কাজও আমরা শুরু করে দিয়েছে’। ব্ৰু শরণার্থীদের ভোটদানের জন্য কানমুন গ্ৰামকে বাছাই করার প্ৰধান কারণ হলো এই গ্ৰামটি রয়েছে ত্ৰিপুরা-মিজোরাম সীমান্ত ঘেঁষে।

মিজোরামের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক(সিইও)আশিস কুন্দ্ৰা সাংবাদিকদের বলেন,‘নির্বাচন কমিশন মিজোরাম ভূখণ্ডের ভিতর কানমান গ্ৰামে ব্ৰু শরণার্থীদের জন্য ভোটদানের ব্যবস্থা করতে আমাদের বলে পাঠিয়েছে। সেই মতো আমরা প্ৰস্তুতি শুরু করে দিয়েছি’।

কুন্দ্ৰা এরআগে গত ২০ নভেম্বর নইশিংপাড়ায় বৃহত্তম ব্ৰু শরণার্থী শিবিরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কথা শরণার্থীদের জানিয়েছেন এবং বলেছেন,কমিশনের নির্দেশিকা তাদের পালন করতেই হবে। নির্বাচন কমিশনের ওই নির্দেশিকার পরিপ্ৰেক্ষিতে ব্ৰু শরণার্থী নেতারা পাল্টা প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন,ব্ৰু ভোটারদের কেউই ভোট দিতে পারবেন না। কারণ জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত। ব্ৰু শরণার্থী নেতারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য,১৯৯০ সালে জাতিগত উত্তেজনা চলাকালে জীবন হুমকির মুখে এসে দাঁড়ানোয় ব্ৰু রা ত্ৰিপুরার ৬টি শরণার্থী শিবিরে আশ্ৰয় নেন। ওই ঘটনার সময় থেকে ব্ৰু রা ত্ৰিপুরার মিজোরাম সীমান্তে বসবাস করছেন।