আগরতলাঃ পর্যটন ব্যবস্থা চাঙ্গা করার উচ্চাশামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(এএআই)এই প্ৰথম অসমের তিনটি স্থানে ওয়াটার এরোড্ৰাম অথবা সিপ্লেন চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এএআই-র জনৈক পদস্থ কর্মকর্তা একথা জানান।
‘দেশব্যাপী সমীক্ষা চালানোর পর এএআই অসমের তিনটি স্থানে ওয়াটার এরোড্ৰাম অথবা সিপ্লেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। পর্যটন ও যোগা্যোগ ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে জলভিত্তিক ফেরি সেবা চালু করার জন্য অসমের তিনটি নদী ও জলাশয় এলাকাকে বাছাই করা হয়েছে। এধরনের ব্যবস্থা দেশে এটাই প্ৰথম। এএআই-র আঞ্চলিক কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর সঞ্জীব জিন্দাল একথা জানান।
তিনি বলেন,‘আগামি বছরের শেষাশেষি অথবা ২০২১-এর গোড়াতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদ এবং উমরাংশু জলাধারে ওয়াটার এরোড্ৰাম এবং সিপ্লেন সেবা চালু করা হবে। সিপ্লেনের জন্য বাছাই তিনটি স্থান হচ্ছে গুয়াহাটি,উমরাংশু(ডিমা হাসাও জেলা)ও প্ৰখ্যাত কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যান’।
জিন্দাল নতুন নকশায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ নির্মীয়মাণ আগরতলা বিমান বন্দরের কাজ দেখতে এখানে এসেছিলেন। তিনি বলেন,অসমে সিপ্লেন প্ৰকল্প রূপায়ণে খুব বেশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করার প্ৰয়োজন পড়বে না। অসমের প্ৰস্তাবিত তিনটি স্থানে জেটি নির্মাণে বড়জোর ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। নতুন এই সেবা চালু করার আগে অন্যান্য কিছু ছোটখাটো কাজ সারতে হবে-বলেন তিনি।
সিপ্লেন অথবা অ্যামফিবিয়াস প্লেনের উড়ান ও অবতরণের জন্য উন্মুক্ত জলপৃষ্ঠের প্ৰয়োজন হয়। বিমান যেখান থেকে উড়ান ও অবতরণ করবে সেটিকে বলা হয় ওয়াটার এরোড্ৰাম। জমিতে এধরনের বিমানগুলো টার্মিনাল বিল্ডিঙের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে যেখানে পাইলটরা জাহাজের মতো ‘ডক’কে কাজে লাগাতে পারবেন। উড়ান(উড়ে দেশ কা আম নাগরিক)প্ৰকল্পের অধীনে ওয়াটার এরোড্ৰাম অথবা সিপ্লেন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে,যা কেন্দ্ৰীয় সরকার এরআগে ঘোষণা করেছিল। উড়ান হচ্ছে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কীয় একটি স্কিম। সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্প খরচে বিমান উড়ানের শখ পূরণ করতে পারেন এবং সেই সঙ্গে দেশের আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যেই এই স্কিম হাতে নেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি আহমেদাবাদে প্ৰথমবার সিপ্লেন ব্যবহার করেছিলেন। এএআই-র আরও একজন বরিষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,এয়ারলাইন স্পাইসজেট আহমেদাবাদ ও মুম্বইয়ে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে সিপ্লেন-এর অপারেশন চালাচ্ছে।
কেন্দ্ৰীয় সরকার এর আগে ছয়-সাতটি স্থানে ওয়াটার এরোড্ৰাম অথবা সিপ্লেন সেবা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। ওই পরিকল্পনায়ও গুয়াহাটির নদী এলাকা,উমরাংশু জলাধার,কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যান,অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ-তেলেঙ্গানার নাগারজুন সাগর,গুজরাটের সাবরমতী নদী এলাকা,গুজরাটের সর্দার সরোবর বাঁধ-এর নাম ছিল। পর্যটন বিশেষজ্ঞ এবং প্ৰাক্তন প্ৰশাসক সুভাষ দাস বলেন,সিপ্লেন অথবা ওয়াটার এরোড্ৰাম অপারেশনের জন্য বিজনেস মডেল অথবা স্পেশাল পারপাস ভেহিকলস নির্মাণ করতে হবে। এদিকে,এএআই উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের বিমানবন্দরগুলোর সম্প্ৰসারণ ও উন্নতি কল্পে ৩৫০০ কোটি টাকার প্ৰকল্প হাতে নিয়েছে। গুয়াহাটি বিমানবন্দরের জন্য এএআই ১২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমের ৫০ শতাংশ বাগানে ডাক্তার নেই,দিশপুরের সাহায্য চাইলেন বাগান কর্তৃপক্ষ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Assam Govt observes 65th 'Vanya Prani Saptah' Wild Life week in Guwahati