শ্ৰীনগরঃ পাক সন্ত্ৰাসী হামলার আশঙ্কায় অবশেষে মাঝপথে স্থগিত রাখা হলো অমরনাথ যাত্ৰা। জম্মু ও কাশ্মীরের গৃহ বিভাগ শুক্ৰবার অমরনাথ তীর্থযাত্ৰী এবং পর্যটকদের অবিলম্বে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হিন্দু তীর্থযাত্ৰীদের বার্ষিক অমরনাথ যাত্ৰা শেষ হবার নির্ধারিত তারিখ ছিল ১৫ আগস্ট। কিন্তু তার আগেই যাত্ৰায় ইতি টানতে হলো। সেনা গোয়েন্দা সূত্ৰে তীর্থযাত্ৰীদের ওপর জঙ্গি হানার পরিকল্পনার সঙ্কেত পাওয়ার পরই যাত্ৰী ও পর্যটকদের কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে গৃহ বিভাগ তাদের ফিরে আসার নির্দেশ দেয়।
পাক মদতপুষ্ট সন্ত্ৰাসীরা অমরনাথ যাত্ৰা বানচালের চেষ্টা করার কিছু নির্দিষ্ট তথ্য সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে। শুক্ৰবার শ্ৰীনগরে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান সেনার শ্ৰীনগর ভিত্তিক চিনার কোরের জিওসি লেফটেনাণ্ট জেনারেল কে জে এস ধীলন এবং রাজ্য পুলিশ প্ৰধান দিলবাগ সিং।
ধীলন বলেন,পাক সেনারা উপত্যকায় সন্ত্ৰাসীদের মাধ্যমে অমরনাথ যাত্ৰীদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করার স্পষ্ট প্ৰমাণ সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে। ধীলন বলেন,কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্ত পরিস্থিতি জিইয়ে রাখতে পাক সেনা ও তাদের মদতপুষ্ট সন্ত্ৰাসীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান কাশ্মীরে সন্ত্ৰাস জিইয়ে রাখার ঘটনায় যে জড়িত তা বিশ্বাস করার পর্যাপ্ত কারণ সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে। অমরনাথ গুহা অভিমুখে যাওয়া উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মীর রুট থেকে সেনারা তল্লাশি চালিয়ে প্ৰচুর বোমা,একটি ল্যান্ড মাইন,একটি আমেরিকান টেলিস্কোপ ফিটেড লং রেঞ্জের রাইফেল উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া ল্যান্ড মাইনটি প্ৰদর্শন করা হয় সাংবাদিক সম্মেলনে। উদ্ধার হওয়া ল্যান্ড মাইনে পাক সেনাবাহিনীর ছাপ রয়েছে। আর টেলিস্কোপ সংযুক্ত লং রেঞ্জের রাইফেলটি আমেরিকায় তৈরি। ধীলন আরও বলেন,তল্লাশি অভি্যান জোরকদমে চলছে। রাজ্য পুলিশ প্ৰধান দিলবাগ সিং রাজ্যে সন্ত্ৰাস বিরোধী অভিযানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে। এদিকে,পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা বালতল এবং পহেলগাম বেস ক্যাম্প পরিদর্শন করে যাত্ৰীদের অবিলম্বে উপত্যকা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বালতল,সোনামার্গ এবং গুলমার্গে থাকা যাত্ৰী ও পর্যটকদের বাক্স পেটেরা বেঁধে উপত্যকা ছাড়তে বলা হয়েছে। যেকোনও সময়ে জঙ্গিদের চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা করেই তড়িঘড়ি নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা। গত দুদিন ধরে যে সব তীর্থ যাত্ৰীরা বাইরে থেকে বিমানে চেপে উপত্যকার বাইরে থেকে এখানে এসেছিলেন তাদের জম্মু থেকে শ্ৰীনগর পর্যন্ত এসকর্ট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। অমরনাথ দর্শন করতে না পেলে অনেক তীর্থযাত্ৰীকে রীতিমতো হতাশ হতে দেখা গেছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো অমরনাথ যাত্ৰা