গুয়াহাটিঃ নদী দ্বীপ মাজুলির ভকত চাপরিতে ভাঙন বিরোধী প্ৰকল্পে তহবিলের অপব্যবহার এবং নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের হস্তক্ষেপের পরিপ্ৰেক্ষিতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব যাদব বৃহস্পতিবার প্ৰকল্প স্থলটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোর্ড ও জেলাশাসক(দায়িত্বপ্ৰাপ্ত)নরেন দাস সহ প্ৰশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা যাদবের সঙ্গে ছিলেন। ইস্যুটি নিয়ে তাঁরা ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
ভাঙন বিরোধী প্ৰকল্পে নিম্নমানের কাজ চলা নিয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে যাদব বলেন,‘প্ৰকল্পে কাজের মান নিয়ে কোনওরকম আপস করা হবে না’।
তিনি আরও বলেন,ভকত চাপরির ১.০২ কিলোমিটার এলাকায় নিম্ন মানের কাজ চলার অভিযোগ উঠেছে। আসলে ওই এলাকাটি মূল এস্টিমেটের অংশ ছিল না। ‘মুখ্যমন্ত্ৰীর নির্দেশে আমি প্ৰকল্প এলাকাটি পরিদর্শন করার পর গত ফেব্ৰুয়ারি মাসে এলাকাটি প্ৰকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সময়ই এই এলাকাটি প্ৰকল্পের আওতায় আনতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল’। মাজুলির ভাঙন বিরোধী প্ৰকল্পের অগ্ৰগতি সম্পর্কে আজ মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়ালের এক পর্যালোচনা সভায় মিলিত হওয়ার কথা আছে। মাজুলির জেলাশাসক(দায়িত্বপ্ৰাপ্ত)বুধবার নদী দ্বীপের ভকতচাপরি ও গরুখুটি এলাকা ব্যক্তিগতভাবে পরিদর্শন করেছেন। ওই সময়ই প্ৰকল্প খাতে সরকারি তহবিলের অপব্যবহার সম্পর্কে একাংশ মানুষ তাঁর কাছে অভিযোগ করেন। তিনি এক চিঠিতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোর্ডের মাজুলিস্থিত একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এব্যাপারে কি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হচ্ছে জেলাশাসক তিনদিনের মধ্যে তার রিপোর্টও চেয়েছেন।
জেলাশাসক ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন যে ‘নদীর পাড়ে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপনের পাশাপাশি খালি জিও ব্যাগ রাখার বিষয়টি তাঁর নজরে আনা হয়েছে। এটা সরকারি তহবিল অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ’-উল্লেখ করেছেন জেলাশাসক যথোচিত তদারকি ও পরিদর্শনের গাফিলতি থাকারই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বিষয়টি।
ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোর্ড ভাঙনের কবল থেকে মাজুলি সুরক্ষায় ১৯৪ কোটি টাকার এই প্ৰকল্পটি রূপায়ণ করছে। এটা কেন্দ্ৰীয় সরকারের প্ৰোজেক্ট। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী নীতিন গাড়করি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়ালের উপস্থিতিতে প্ৰকল্পটি উদ্বোধন করেছিলেন। অরুণাচল প্ৰদেশের টি কে ইঞ্জিনিয়ারিং প্ৰকল্পটির কাজ করছে। প্ৰকল্পটির জন্য তহবিল দিচ্ছে ডোনার মন্ত্ৰক।