সংবাদ শিরোনাম

রাজ্যের ১০০৮টি ধর্মীয় স্থানের সংরক্ষণ ও শোভাবর্ধনে ব্যবস্থা নিচ্ছে দিশপুর

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্ৰতি আলোকপাত করে অসম সরকার ২০১৯-২০ সালে ‘অসম দর্শন’ স্কিমের অধীনে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্ৰস্থল ১০০৮টি ধর্মীয় স্থানের সংরক্ষণ এবং সেগুলিকে তুলে ধরতে পদক্ষেপ নিয়েছে।

ট্ৰ্যান্সফরমেশন এবং ডেভেলপমেন্ট বিভাগ(টি অ্যান্ড ডি)এগুলি রূপায়ণ করবে। এই স্কিমের অধীনে যে কাজগুলি রূপায়ণ করা হবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকরা মাস্টারপ্ল্যান প্ৰস্তুত করবেন। ইতিমধ্যে চিহ্নিত ধর্মীয় স্থানগুলির মূল কাঠামোর উন্নতি সাধন এবং আশপাশ এলাকার শ্ৰীবৃদ্ধি কল্পে প্ৰতিটি স্থানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। ২০১৯-২০-র চলতি বছরে এব্যাপারে ১০০ কোটি টাকা বাজেট ধার্য হয়েছে। প্ৰকল্পগুলোর মোট ব্যয়ের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে ওই স্থানগুলোতে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যেই প্ৰকল্পের আংশিক কাজ সম্পন্ন করা হবে-জানিয়েছে বিভাগীয় সূত্ৰটি। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে থাকা এই সমস্ত ঐতিহ্যপূর্ণ ধর্মীয় স্থানের প্ৰয়োজনীয় সু্যোগ সুবিধাগুলি উন্নত করাই এই স্কিমের প্ৰাথমিক লক্ষ্য। এই সমস্ত স্থানগুলির যথেষ্ট ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এই সব ধর্মীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে মন্দির,থান,সত্ৰ,গির্জা,বৌদ্ধ বিহার,দরগাহ,মসজিদ ইত্যাদি। তাছাড়া বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর কিছু ধর্মীয় স্থানও রয়েছে। রাজ্যের এই সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলিতে আবশ্যক সু্যোগ সুবিধা না থাকায় দর্শনার্থীদের অনেক সময় বিভিন্ন অসুবিধা ও সমস্যার মুখে পড়তে হয়।

বিভাগীয় সূত্ৰটির মতে,এধরনের আবশ্যক কাজগুলি সম্পন্ন হলে পর্যটকদের স্থানগুলি পরিদর্শনের সুবিধা হবে। নির্মাণ কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরাই নির্মাণ কমিটি গঠন করবেন। ওই কমিটিতে সভাপতি অথবা মেম্বার সেক্ৰেটারি পদে একজন সরকারি কর্মকর্তা থাকবেন। এই স্কিমটিকে মোট চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে দেবালয়গুলোকে বার্ষিক অর্থমঞ্জুরি,ধর্মীয় স্থানের মূল কাঠামোর উন্নয়ন ও প্ৰাকৃতিক সৌন্দর্যবর্ধন-এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রক্ষা এবং পর্যটকদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন ইত্যাদি।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Anti-CAA protest by students at Tinsukia College