সংবাদ শিরোনাম

বন্যপ্ৰাণী হত্যায় জড়িত ৫ অপরাধীকে ৭ বছরের সশ্ৰম কারাদণ্ডের রায় বিজনি আদালতের

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ আদালতের তিনটি উল্লেখযোগ্য রায় অসমে বন্যজীবন সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করে তুলবে। চিরাং জেলার বিজনির দায়রা আদালত মানস জাতীয় উদ্যানে জীবজন্তু হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত পাঁচ ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্ৰম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।

বন্যপ্ৰাণী হত্যা সংক্ৰান্ত অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে আদালত দোষী সাব্যস্ত পাঁচজন অপরাধীর বিরুদ্ধে এই সাজা শোনায়। মানস জাতীয় উদ্যানের ভেতরে হরিণ শিকার,আগ্নেয়াস্ত্ৰ নিয়ে উদ্যানের ভিতর শিকার,বন্যপ্ৰাণী ও পশুপাখি হত্যায় দোষী প্ৰমাণিত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এই কঠোর শাস্তির রায় দেয় আদালত। কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি এনইউ আহমেদ সম্প্ৰতি দোষীদের বিরুদ্ধে এই রায় দান করেন।

সাম্প্ৰতিক বছরগুলোতে বন্যপ্ৰাণী হত্যার ক্ষেত্ৰে দেখা গেছে বনকর্মীরা সঠিকভাবে অভি্যোগ দায়ের করা থেকে বিরত থাকেন। তাছাড়া ট্ৰায়েল কোর্টে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্ৰমাণ তুলে ধরার ক্ষেত্ৰে ব্যর্থতা এবং প্ৰক্ৰিয়াগত ফাঁকফোকড়ের জন্য মামলাগুলির হেস্তনেস্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

পরিবেশ,বন ও আবহাওয়া পরিবর্তন দপ্তরের হাতে আসা তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে,২০১৫ সাল থেকে চোরাশিকারের ঘটনায় ২,২৬৯ জন ব্যক্তিকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন রাজ্যে এই সময়ে ১,২২৪ জনকে গ্ৰেপ্তার করার বিষয়টি নথিভুক্ত হলেও ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত মাত্ৰ ১২৬টি মামলায় দোষীদের চিহ্নিত করা গেছে।

মানস জাতীয় উদ্যানের কুকলং রেঞ্জের বনকর্মী ৫৯ বছর বয়সী মানিক ব্ৰহ্ম বন্যপ্ৰাণী হত্যা সংক্ৰান্ত তিনটি মামলার মধ্যে একটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।

‘আমি আমার জীবনকালে মানস জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্ৰাণী হত্যা সংক্ৰান্ত কমপক্ষে ১৭৯টি মামলা নথিভুক্ত করেছি এবং এপর্যন্ত এরমধ্যে মাত্ৰ একটি মামলায় দোষীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।

‘বন্যপ্ৰাণী বিভাগের পক্ষ থেকে আয়োজিত সবকটি আইনি প্ৰশিক্ষণে আমি অংশ নিয়েছি। ওই প্ৰশিক্ষণ থেকে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। ১৭৯টি মামলার পর আমরা মাত্ৰ তিনটি মামলায় জয়ের মুখ দেখতে সফল হয়েছি। বন বিভাগ এবং বন্যজীবন সংক্ৰান্ত আইনের ক্ষমতা কতটুকু তা বন্যপ্ৰাণী হত্যা মামলায় জড়িত অপরাধীদের প্ৰতি আদালতের এই রায় একটা কড়া বার্তা হিসেবেই বিবেচিত হবে-বলেন ব্ৰহ্ম। আমরা এখন প্ৰথম সারির বনকর্মীদের প্ৰশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে বন্যপ্ৰাণীর বিরুদ্ধে অপরাধ ঠেকাতে তারা সক্ষম হয়-বলেন তিনি।