গুয়াহাটিঃ ভারতের প্ৰাক্তন নির্বাচন কমিশনার(সিইসি)হরি শংকর ব্ৰহ্ম বলেছেন,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)বলবৎ হওয়ায় অসমের ভূমিপুত্ৰ মানুষের ক্ষেত্ৰে দেখা দেওয়া বর্তমান ভূমি সংকট বৃদ্ধি করবে। ‘রাজ্যে ভূমিহীন কয়েক লক্ষ খিলঞ্জিয়া মানুষ রয়েছে। খিলঞ্জিয়া মানুষের জন্য ইতিমধ্যেই জমির অভাব দেখা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে আসা আরও মানুষের সংস্থাপন রাজ্যে কি করে সম্ভব? রাজ্য পড়শি দেশের অনেক মানুষের বোঝা ইতিমধ্যেই কাঁধে নিয়েছে। আরও বাড়তি মানুষের বোঝা নেওয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই’। ব্ৰহ্ম সোমবার দ্য সেন্টিনেলকে একথা বলেন।
রাজ্য সরকারের তরফে অসমের খিলঞ্জিয়া মানুষের জমির অধিকার সুরক্ষা সংক্ৰান্তে গঠিত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ব্ৰহ্ম। তিনি বলেন,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)রূপায়িত হলে মাত্ৰ ৫ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাবেন বলে বলা হয়েছে। তবে এটা ঠিক নয়। ব্ৰহ্ম কমিটি ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট দাখিল করেছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল রাজ্যের খিলঞ্জিয়া মানুষই ভূমিহীন শ্ৰেণির লোক হিসেবে পরিগণিত হবেন এবং বিদেশিরা অদূর ভবিষ্যতে ভূমিপুত্ৰদের নিজের ভূমিতেই ঘাঁটি গেড়ে বসবে।
ওই রিপোর্টটির মতে,বাংলাদেশ থেকে প্ৰব্ৰজনকারী মুসলিমরা যেভাবে জমি দখল করে রেখেছে সেটা জমির অধিকারের ক্ষেত্ৰে একটা গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং অসমের খিলঞ্জিয়া মানুষের অস্তিত্বের ক্ষেত্ৰেও এটা একটা বড় সংকট।
আরও বলা হয়েছে ‘হিন্দু বাংলাদেশিদের একবার নাগরিকত্ব দেওয়া হলে সরকারকে তাদের জন্য জমি ও অন্যান্য সু্যোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন কাটাতে পারে। এমনটা হলে খিলঞ্জিয়া মানুষের জমির সংকটকে আরও উত্যক্ত করে তুলবে’-বলেন ব্ৰহ্ম।
তিনি বলেন,রাজ্যে গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরোধিতা করছেন। সেইহেতু সরকারের ওই আইনটি রাজ্যের ওপর বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। ‘মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এধরনের আইন চাপানোটা অন্যায়। তাই অসমকে ক্যার আওতা থেকে বাইরে রাখাই উচিত’-উল্লেখ করেন ব্ৰহ্ম।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ক্যা প্ৰত্যাহার না করা অবধি অসমের মানুষ বিশ্ৰাম নেবেন নাঃ সমুজ্জ্বল
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Tinsukia MLA Sanjay Kishan given a warm welcome on his return to his hometown.