নয়াদিল্লিঃ এবছর বৃষ্টি কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে ফসল উৎপাদনের পরিমাণও হ্ৰাস পাওয়ার সম্ভাবনা। এই দিকটি বিবেচনা করে কেন্দ্ৰীয় সরকার ফসল সংগ্ৰহকারী সংস্থাগুলিকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ মজুত করার নির্দেশ দিয়েছে,যাতে করে পেঁয়াজের ঘাটতির সময় এর বাজার দর নিয়ন্ত্ৰণে রাখা যায়।
কেন্দ্ৰীয় খাদ্য মন্ত্ৰকের ওই নির্দেশের পরিপ্ৰেক্ষিতে ন্যাশনাল এগ্ৰিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া(এনএএফইডি)মহারাষ্ট্ৰ ও গুজরাটে পেঁয়াজ সংগ্ৰহের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
‘আমরা সংগ্ৰহকারী সংস্থাগুলোকে বলেছি যতটা বেশি সম্ভব পেঁয়াজ সংগ্ৰহ করে রাখতে। পেঁয়াজ সংগ্ৰহের পরিমাণ ৫০ হাজার টনের বেশি হওয়া চাই’।
উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগের সেক্ৰেটারি একে শ্ৰীবাস্তব আইএএনএসকে একথা জানান। পেঁয়াজ এভাবে সংগ্ৰহ করার মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে যখনই বাজারে পেঁয়াজের আকাল দেখা দেবে তখনই পেঁয়াজের এই আপদকালীন ভান্ডারকে কাজে লাগানো যাবে এবং সেইসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধিও নিয়ন্ত্ৰণে রাখা হবে।
২০১৭ সালে আবশ্যক শাক সব্জির খুচরো মূল্য নিয়ন্ত্ৰণে রাখতে সরকারকে যথেষ্ট ঝামেলার মুখে পড়তে হয়েছিল। গত বছর খোদ দিল্লিতেই প্ৰতি কেজি পেঁয়াজের খুচরো মূল্য ৬০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মন্ত্ৰী রামবিলাস পাসোয়ান পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্ৰণে রাখতে তাঁর অসহায়তার কথা প্ৰকাশ করেছিলেন। পাসোয়ান পেঁয়াজ চাষের জমি হ্ৰাস পাওয়া এবং একাংশ ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুত করে রাখায় এর অপ্ৰতুলতা দেখা দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন।
তবে সরকার এবার স্থানীয় বাজারগুলি থেকে পেঁয়াজ সংগ্ৰহ করার এবং পেঁয়াজ রপ্তানিতে কোনওরকম গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে,যাতে করে মূল্য নিয়ন্ত্ৰণে রাখা যায়। তাছাড়া মজুতদারদের লাগাম পরাতে সরকার গোয়েন্দা ব্যুরোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছে। ইনটেলিজেন্স ব্যুরো(আইবি)এবং পুলিশকে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে-জানান শ্ৰীবাস্তব।
কৃষি মন্ত্ৰকের সাম্প্ৰতিক হিসেব অনু্যায়ী,এবছর ১২.৬৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। গত বছর ১২.৮৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছিল। পেঁয়াজ চাষের এলাকা যে কমেছে উল্লিখিত তথ্য থেকে তা স্পষ্ট।