সংবাদ শিরোনাম

২০০টি অতিরিক্ত এফটি নিয়ে কেন্দ্ৰের দ্বারস্থ দিশপুর

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ নব নিযুক্ত ২২১ জন এফটি (ফরেনার্স ট্ৰাইবুনাল)সদস্যদের কাজ নিয়ে রাজ্য সরকার এখনও বিভ্ৰান্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের(এমএইচএ)দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সূত্ৰটি জানিয়েছে,গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ এব্যাপারে স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে এনআরসি ছুটদের কর্তৃপক্ষ রিজেকশন অর্ডার ইস্যু না করা পর্যন্ত বর্তমানে থাকা ১০০টি এফটিতে ঝুলে থাকা কিছু মামলায় নবনিযুক্ত এফটি সদস্যদের কাজে লাগানো যাবে কিনা সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের মতামত চাওয়া হয়েছে। ২০১৯-এর ৩১ আগস্টে প্ৰকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি থেকে ওই সমস্ত লোকের নাম বাদ পড়েছিল।

উল্লেখ্য,বর্তমানে থাকা ১০০টি এফটিতে আনুমানিক ১.৫০ লক্ষ মামলা ঝুলছে। চূড়ান্ত রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)প্ৰকাশের আগে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক চূড়ান্ত এনআরসিতে অযোগ্য বিবেচিত লোকেদের মামলাগুলো পর্যায়ক্ৰমে নিষ্পত্তি করার জন্য ১০০০টি অতিরিক্ত এফটি স্থাপনের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন জানিয়েছিল। প্ৰাথমিক পর্যায়ে কেন্দ্ৰ ৪০০টি অতিরিক্ত এফটি স্থাপনের বিষয়টি অনুমোদন করছিল। এর মধ্যে ২০০টি এফটি প্ৰাথমিক পর্যায়ে স্থাপন করা হয়। বাকি ২০০টি এফটি পর্যায়ে ক্ৰমে স্থাপন করা হবে।

২০১৯-এর ১১ সেপ্টেম্বর গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ এক বছরের সময় মেয়াদে ২২১ জন এফটি সদস্যকে নিয়োগ করে। ২০০টি নতুন অতিরিক্ত এফটি এবং বর্তমানে থাকা ১০০টি এফটির ২১টি খালি পদ পূরণে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এক বিজ্ঞপ্তিতে গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ(এইচঅ্যান্ডপি)এটাও উল্লেখ করেছিল যে নব নিযুক্ত এফটি সদস্যদের পোস্টিঙের স্থান এক পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। কিন্তু চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের পাঁচ মাস অতিক্ৰান্ত হওয়ার পরও এনআরসি কর্তৃপক্ষ নাম ছুটদের আজ অবধি রিজেকশন লেটার ইস্যু করেনি। সে জন্যই দিশপুর নবনিযুক্ত এফটি সদস্য বা বিচারপতিদের কোনও কাজে লাগাতে পারছে না। অন্যদিকে,এই সমস্ত নবনিযুক্ত এফটি সদস্যরা,নিয়োগের সময় থেকে মাসে মাসে বেতন গুনছেন। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে ২০০টি অতিরিক্ত এফটিকে কর্মক্ষম করে তুলতে দিশপুর কেন্দ্ৰের অনুমতি চেয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AASU takes out torch rally against CAA 2019 in Guwahati