সংবাদ শিরোনাম

রাজ্যের উপজাতি বেল্ট ও ব্লক থেকে অউপজাতিদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ গৌহাটি হাইকোর্টের

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ গৌহাটি হাইকোর্ট রাজ্যের সংরক্ষিত উপজাতি বেল্ট/ব্লকের জমি অধিকার করে রাখা সমস্ত অউপজাতি লোকেদের উচ্ছেদ করতে বেশকটি জেলার জেলাশাসক ও বিটিসি-র(বোড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল কাউন্সিল)প্ৰধান সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে। কোর্ট সংরক্ষিত এলাকা থেকে অবৈধ দখলদারদের অপসারণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণ সম্পর্কে ২০২০-র ৩ ফেব্ৰুয়ারির মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও প্ৰধান সচিবকে বলেছে। আদালতের পক্ষ থেকে এই বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে,এই নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করা না হলে দায়িত্বে থাকা অফিসারদের তার মূল্য দিতে হবে। কোর্ট পরিষ্কার করে বলেছে,দায়িত্বে থাকা কোনও অফিসার যদি একাজে ঢিলেমি করেন তাহলে তার বেতন কর্তন করা হবে। তাই ইস্যুটি নিয়ে বর্তমানে জেলাশাসকদের ওপর সে বাড়তি চাপ পড়বে সেটা নিশ্চিত।

আদালতের এই কঠোর নির্দেশ যেকোনওভাবে মানতে হবে। রাজ্যের উপজাতি বেল্ট ও ব্লক অউপজাতিদের দখল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করা চাই। ২০২০-র ৩ ফেব্ৰুয়ারির মধ্যে সংরক্ষিত উপজাতি এলাকা অউপজাতিদের অবৈধ দখল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে বলেছে কোর্ট। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক এবং প্ৰধান সচিব সময়ের মধ্যে একাজ করতে পারবেন কি না সেটাই এখন বড় প্ৰশ্ন। কারণ,উচ্ছেদের কাজ সম্পূর্ণ করতে জেলাশাসক ও প্ৰিন্সিপাল সচিবের হাতে মাত্ৰ এক মাস সময় রয়েছে। গৌহাটি হাইকোর্টের দুজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ সম্প্ৰতি এই নির্দেশটি ঘোষণা করে। একটি জনস্বার্থ মামলা পিআইএল(৭৮/২০১২)-র পরিপ্ৰেক্ষিতে মুখ্য বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি অচিন্ত্য মল্ল বুজরবরুয়াকে নিয়ে এই বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। কোর্ট বঙাইগাঁও,কামরূপ(এম),মরিগাঁও,শোণিতপুর এবং তিনসুকিয়ার জেলাশাসকদের ওই নির্দেশ ইস্যু করেছে। নির্দেশ ইস্যু করা হয়েছে বিটিসি-র প্ৰধান সচিবকেও। বিটিসির প্ৰধান সচিবের অধীনে রয়েছে চারটি জেলা। এগুলো হলো কোকরাঝাড়,চিরাং,বাক্সা এবং ওদালগুড়ি।

এদিকে রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব গীতাঞ্জলি ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পেশ করা হলফনামায় হাইকোর্টকে বলেছেন,নতুন ভূমি নীতি অনু্যায়ী সংরক্ষিত এলাকাগুলি অউপজাতিদের কবল থেকে মুক্ত করতে তারা ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছেন।(রাজ্য মন্ত্ৰিসভা সম্প্ৰতি নতুন ভূমিনীতি অনুমোদন করেছে কিন্তু এখন শুধু গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তির জন্য প্ৰতীক্ষা করা হচ্ছে)। এখন কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে একাজ সম্পূর্ণ করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদেরই সুনিশ্চিত করতে হবে।

বিভাগীয় হলফনামায় বলা হয়েছে,১৮৮৬ সালের আসাম ল্যান্ড অ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশনের দশম অধ্যায়ের বিধি ব্যবস্থা অনু্যায়ী সংরক্ষিত এলাকায় ভূমি হস্তান্তরে জেলাশাসকদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। উপজাতি এলাকার জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখাদের চিহ্নিত করতে প্ৰয়োজনীয় যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কোর্ট তার প্ৰশংসা করেছে। কোর্ট জেলাশাসক এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অফিসারদের ওই নির্দেশ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Anti-CAA protests: AASU and Artistes Society of Assam jointly conducts protest meeting in Sualkuchi