সংবাদ শিরোনাম

‘গুপ্তহত্যা মামলায় হাইকোর্ট আমাকে ক্লিনচিট দিয়েছে’: প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত বৃহস্পতিবার বলেছেন,গুপ্ত হত্যার অভি্যোগ নিয়ে গৌহাটি হাইকোর্ট তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বুধবার বরপেটা জেলার সরভোগে শাসক দল বিজেপির আয়োজিত এক শান্তি সমাবেশে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত গুপ্ত হত্যায় জড়িত ছিলেন বলে অভি্যোগ করার একদিন পরই মহন্ত এই বিবৃতি দিলেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরোধিতা করায় মহন্ত বিজেপির আক্ৰমণের টার্গেট হয়ে পড়েন।

‘গৌহাটি হাইকোর্ট গুপ্ত হত্যা মামলা নিয়ে আমাকে ক্লিনচিট দিয়েছে। আমার সরকার এধরনের গুপ্ত হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধে কেন্দ্ৰের কাছে প্ৰতিবাদ জানিয়েছিল’-বৃহস্পতিবার এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন মহন্ত।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১২৬ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১০০টিতে জয়ী হবে বলে শর্মা যে দাবি করেছেন সে ব্যাপারে প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে মহন্ত বলেন,শর্মার ওই বিবৃতি থেকে এটা স্পষ্ট প্ৰমাণিত হয় যে শাসক দলটি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার লক্ষ্যেই ক্যা এনেছে।

তিনি অভি্যোগ করেন,আসু থেকে বহিষ্কৃত হবার পরই শর্মা কংগ্ৰেসে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর কংগ্ৰেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শর্মা বিভিন্ন কেলেংকারির অভি্যোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে-বলেন মহন্ত।

প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন,‘২০১৪ সালে বিজেপির তদানীন্তন রাষ্ট্ৰীয় উপ সভাপতি এসএস আলুওয়ালিয়া শর্মাকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে দিল্লিতে সরকার বদল হলে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত মামলাগুলোর ফের তদন্ত হতে পারে,যা শর্মা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন’। আলুওয়ালিয়ার ওই সতর্কবাণীর পরই শর্মা বিজেপিতে যোগ দেন’-উল্লেখ করেন মহন্ত। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী আরও উল্লেখ করেন,ওই সময় সারদা কেলেংকারি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছিল কিন্তু পরে তা থিথিয়ে আসে।

এদিকে বুধবারের শান্তি সমাবেশে শর্মা বলেছেন,অবৈধ প্ৰব্ৰজনকারীদের ছেলেমেয়েকে নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্ৰ নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছিল,যখন অগপ রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল। শর্মার এই বিবৃতির প্ৰতি সাড়া দিয়ে মহন্ত বলেন,তাঁর সরকার কেন্দ্ৰের কাছে এধরনের সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছিল।

মহন্ত আরও বলেন,তাঁর সরকারের জমানায় অবৈধ বিদেশিদের শনাক্ত করাটা অত্যন্ত কঠিন ছিল আইএম(ডিটি)আইন বহাল থাকায়। ওই সময় সর্বানন্দ সোনোয়াল দলের কোনও পদে না থাকায় অগপ আইএমডিটি-র বিরুদ্ধে সুপ্ৰিমকোর্টে লড়তে তাঁকে(সোনোয়াল)ক্ষমতা দিয়েছিল-উল্লেখ করেন মহন্ত।

ক্যা নিয়ে অগপ নেতৃত্বে ভিন্ন মতামত থাকলেও ২০২০-এর রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন প্ৰসঙ্গে মহন্ত বলেন,ক্যা নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে আগামি ৭ জানুয়ারি অগপ তৃণমূল কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। ‘ক্যার সবচেয়ে বিপজ্জনক দিকটা হচ্ছে ওই আইনে যারা উপকৃত হবে তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কোনও নথিপত্ৰ দাখিল করতে হচ্ছে না’-বলেন মহন্ত।

বিকল্প রাজনৈতিক মঞ্চ গড়া সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অগপ-র প্ৰতিষ্ঠাতা সভাপতি মহন্ত এধরনের মঞ্চ গড়ার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্ৰকাশ করেন। বলেন,এধরনের প্ৰস্তাব শুধু বিজেপিকেই সাহায্য করবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Public meeting on Protection of the indigenous communities held in Tinsukia