সংবাদ শিরোনাম

হাইলাকান্দিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ,কার্ফু,তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্ৰীর

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্ৰেক্ষিতে বরাক উপত্যকার পুরো হাইলাকান্দি জেলায় শুক্ৰবার কার্ফু জারি করা হয়েছে। হাইলাকান্দি শহরের একটি মসজিদের সামনে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জনা কয়েক পুলিশ কর্মী সহ কমপক্ষেও ১৫ জন আহত হন। বেশকটি দোকানে লুটপাট চলে। কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ছাড়াও গাড়ি এবং বাইকের ক্ষতি সাধন করে হিংসান্মোত্তরা।

হাইলাকান্দির জেলাশাসক কীর্তি জলি বলেন,দুটো গোষ্ঠী হিংসায় উস্কানি দেওয়ায় এবং সাম্প্ৰদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করায় জেলায় কার্ফু চাপানো হয়।

শুক্ৰবার বিকেলে কার্ফু বলবৎ করার পর ১২ মে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত কার্ফুর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় প্ৰশাসন। এই রিপোর্ট দাখিলের সময় পর্যন্ত পাওয়া এক খবরে জানা গিয়েছে,হাইলাকান্দি শহরের এসএস রোডের মাড়োয়ারি পট্টি এলাকায় একদল লোক শুক্ৰবার বিকেলে পথের মধ্যেই নামাজ পাঠে বসে পড়ে। ওই সময় অন্য একটি গোষ্ঠী পাথর বৃষ্টি শুরু করে। আসলে গণ্ডগোলের সূত্ৰপাত ঘটে বুধবার বিকেলে। ওইদিন বিকেলে মাড়োয়ারি পট্টির পুরনো মসজিদের সামনে পার্কিং করে রাখা একটি বাইকের আসন কেটে ফেলে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই মসজিদের সদস্যরা থানায় একটি এফআইআর দাখিল করে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্ৰেপ্তার করার দাবি জানায়। মসজিদের সদস্যরা বুধবার আরও ঘোষণা করে অপরাধীকে অবিলম্বে পাকড়াও করে শাস্তি না দিলে তারা পথের মধ্যে জুম্মার নামাজ পাঠ করবে। বাইকের আসন কাটার প্ৰতিবাদে ও অপরাধীর শাস্তির দাবিতে শুক্ৰবার বিকেলে একাংশ লোক মাড়োয়ারি পট্টির পথ ও পদপথে জুম্মার নামাজ পাঠে জমায়েত হলে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের একটি দল সংঘর্ষের সৃষ্টি করে। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ,হাতাহাতি। এই সংঘর্ষে বেশকজন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি বাগে আনতে লাঠি চার্জ ও শূন্যে গুলি চালায়।

এদিকে,মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব কুমার বরাকে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের বনমন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য,অতিরিক্ত ডিজিপি মুকেশ আগরওয়াল এবং বরাক উপত্যকা ডিভিশনের কমিশনার আনোয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে পরিস্থিতির খোঁজ নিতে হাইলাকান্দি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।

জেলার উপদ্ৰুত ও স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে সিআরপিএফ এবং আসাম রাইফেলস মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনতে প্ৰশাসন সেনাবাহিনীর সাহা্য্য চেয়েছে।

জেলাশাসক জলি প্ৰত্যেককে ধৈর্য বজায় রেখে শান্তি ও সম্প্ৰীতি ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ হিংসায় উস্কানি দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনু্যায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে-সতর্ক করে দিয়েছেন জেলাশাসক।

এদিকে এই ঘটনার পরিপ্ৰেক্ষিতে গোটা বরাক জুড়ে ইণ্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।