সংবাদ শিরোনাম

রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিসে মৃত্যু ৬ জনের,লাল সঙ্কেত জারি

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ জাপানি এনকেফেলাইটিস(জেই)এবং অ্যাকুইট এনকেফেলাইটিস সিনড্ৰোমের(এইএস)প্ৰার্দুভাবে রাজ্যের প্ৰতিটি জেলায় লাল সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। মারণ রোগ জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্ৰান্ত হয়ে রাজ্যে এপর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্ৰান্ত হয়ে ভুগছেন আরও ২৪ জন।

অন্যদিকে,এবছর এখন পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাকুইট এনকেফেলাইটিস সিনড্ৰোমের(এইএস)২০০টি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এহেন সঙ্গিন পরিস্থিতির পরিপ্ৰেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিভাগ প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করে তুলতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কণ্ট্ৰোল প্ৰোগ্ৰামের মতে,অসমে মশক ও কীটপতঙ্গ বাহিত রোগ প্ৰবণ জেলাগুলির তালিকায় রয়েছে কামরূপ,ডিব্ৰুগড়,শোণিতপুর এবং শিবসাগর। গত কয়েক বছর ধরে জাপানি এনকেফেলাইটিস এবং এইএস রোগে আক্ৰান্ত হয়ে এই জেলাগুলিতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।

২০১৭ সালের ন্যাশনাল হেলথ প্ৰোফাইল অনু্যায়ী,২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অসমে মশা ও কীটপতঙ্গ বাহিত রোগে আক্ৰান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তির। এজাতীয় রোগে ২০১৪ সালে ১৬৫,২০১৫ তে ১৬০,২০১৭ তে ১১৯ এবং ২০১৮ সালে ৬৬ জন প্ৰাণ হারিয়েছেন। মশক বাহিত রোগ প্ৰতিরোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এরআগেও প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছিল। কিন্তু মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ধোঁয়া দেওয়া ছাড়াও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্ৰচার অভি্যানও চালানো হয়েছিল। তবে বর্তমানে রাজ্যের প্ৰতিটি জেলা থেকে প্ৰতিদিনই রিপোর্ট সংগ্ৰহ করা হচ্ছে। এই রোগ ঠেকাতে রাজ্যের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্ৰতিষেধক ও ওষুধপত্ৰ মজুত রাখা হয়েছে।

কিউলেক্স জাতীয় মশাই জাপানি এনকেফেলাইটিস ছড়াচ্ছে। গ্ৰামাঞ্চল এবং শহরতলির এলাকাগুলোতে কিউলেক্স জাতীয় মশার উপদ্ৰব বেশি। তাছাড়া এজাতীয় মশা বিশেষ করে কোনও শুয়োরকে কামড়ালে সেই শুয়োর থেকেও এই মারণ রোগ ছড়িয়ে থাকে।

জাপানি এনকেফেলাইটিস(জেই)এবং অ্যাকুইট এনকেফেলাইটিস সিনড্ৰোম(এইএস)রোগের লক্ষণ গুলো হলো-মাথাব্যথা,জ্বর,মাংসপেশী ও গাঁটে ব্যথা ইত্যাদি অনুভব হবে। তাছাড়া দুর্বলতা এবং অবসাদ ইত্যাদি অনুভব হবে রোগীর। সাধারণত ১৪-১৫ বছর বয়সী এবং প্ৰাপ্তবয়স্কদেরই এই রোগে বেশি আক্ৰান্ত হতে দেখা যায়।