সংবাদ শিরোনাম

রাজ্যের প্ৰধান নদীগুলো ফুঁসছে,ক্ষতিগ্ৰস্ত ৬২,৪১৯ জন

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ ব্ৰহ্মপুত্ৰ এবং এর উপনদীগুলির জল মঙ্গলবার থেকে বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে বইছে। রাজ্যের ১৪৫টি গ্ৰামের ১৪টি রাজস্ব সার্কলের ৬২,৪১৯ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন। বন্যা পীড়িত ২০৩ জন মানুষ পাঁচটি শিবিরে আশ্ৰয় নিয়েছেন। গোলাঘাটের ৪টি এবং যোরহাট জেলার একটি শিবিরে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে বন্যাক্ৰান্তদের। অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। নিমাতিঘাটে মহাবাহু ব্ৰহ্মপুত্ৰ বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। নুমলিগড়ে ধনশিরি,এনটি রোডে জিয়া ভরলি,পুঠিমারি ন্যাশনাল হাইওয়ে রোডে এবং বরপেটায় বেকি নদীর জলস্তর বিপদ সীমা ছাপিয়ে গেছে।

ভুটান এবং অরুণাচল প্ৰদেশে গত কয়েকদিন ধরে অবিশ্ৰান্ত বৃষ্টিপাতের ফলে এই নদীগুলোতে জলস্ফীতি দেখা দেয়। রিপোর্টে প্ৰকাশ,নিপকো তাদের রঙানদী জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প থেকে বাড়তি জল ছাড়ায় ধেমাজি,লখিমপুর জেলা বন্যার জলে ভাসছে। রাজ্যের আট জেলায় ৩,৪৩৫ হেক্টর কৃষিভূমি বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্ৰস্ত জেলাগুলির তালিকায় রয়েছে ধেমাজি,লখিমপুর,বিশ্বনাথ,বরপেটা,চিরাং,গোলাঘাট,যোরহাট এবং ডিব্ৰুগড়। বন্যায় এপর্যন্ত ১৭,২৭৫টি গবাদি পশু ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। ৪,৮৩৮টি হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে বন্যায়।

ওদালগুড়ি এবং বরপেটার বিভিন্ন স্থানের রাস্তা বন্যার জলে ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। লখিমপুর জেলার দুটো স্থানে কালভার্ট এবং সেতু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যার আগ্ৰাসী তাণ্ডবে। বরপেটা জেলার বিভিন্ন স্থানে বাঁধে ফাটল ধরেছে। ওদিকে ডিমা হাসাও জেলায় ধস নামার খবর পাওয়া গেছে। শোণিতপুর,ওদালগুড়ি,যোরহাট এবং বরপেটা জেলার বিভিন্ন স্থানে নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকার খবর রয়েছে।

লখিমপুর থেকে আমাদের প্ৰতিবেদক জানিয়েছেন,অরুণাচল প্ৰদেশের ইয়াজলিতে থাকা রঙানদী জল বিদ্যুৎ প্ৰকল্পের জলাধার থেকে নিপকো বাড়তি জল ছেড়ে দেওয়ায় উত্তর লখিমপুর ও নাওবৈসা রাজস্ব সার্কলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডুবিয়ে দিয়েছে। বন্যার প্ৰকোপে দুটো অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবন পঙ্গু হয়ে পড়েছে। নদীর কূল ছাপানো জলে বরবিল,২নং গোবরিশালি,৯/৬ কৈলামারি,আমতোলা পিজিআর,খামডু মিরি,লখিমপুর রাজস্ব সার্কলের খরকাটি ইত্যাদি অঞ্চল ডুবিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও দিজু চাপরি,১নং দিজু পথার,২নং দিজু পথার,১০/১৩ গ্ৰান্ট দিজু,কুলাবিল ব্লক,উজনি খামতি,১নং পাঁচনৈ উজনি এবং ২নং পাঁচনৈ উজনি এখন জলের তলায়। এই অঞ্চলগুলো নাওবৈসা রাজস্ব সার্কলের অন্তর্গত। গ্ৰামগুলির অধিকাংশ বাড়ি জলে তলিয়ে আছে। দিজু চাপরিতে বহু মানুষ ঘরের ছাদে আশ্ৰয় নিয়েছেন। কেউ কেউ আশ্ৰয় নিয়েছেন গাছের উপর। তবে পরে এদের নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলা প্ৰশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও ত্ৰাণ শিবির খোলেনি। লখিমপুরে বন্যায় ৪০টির বেশি গ্ৰাম ক্ষতিগ্ৰস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ব্ৰহ্মপুত্ৰ থেকে কিশোরীর শব উদ্ধার