গুয়াহাটিঃ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গত সেপ্টেম্বর থেকে আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির বহু কেন্দ্ৰ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ফলস্বরূপ জনগণ ওই সমস্ত কেন্দ্ৰে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। এরফলে তাঁদের প্ৰচণ্ড হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে।
রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু জেলায় আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়া অত্যন্ত ঢিমেতালে চলছে বলে জনগণের অভিযোগের পরিপ্ৰেক্ষিতে অসম সরকারের সাধারণ প্ৰশাসন বিভাগ(জিএডি)-স্টেট রেজিস্ট্ৰার অফ আধার এনরোলমেন্ট এক্ষেত্ৰে নিয়োজিত ছটি ফার্ম এবং ভেন্ডরদের আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়া ক্ষিপ্ৰতর করার নির্দেশ দিয়েছে। জনতা ভবনে বুধবার ফার্মগুলির সঙ্গে জিএডি-র এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউআইডিএ(উদাই কর্তৃপক্ষ)ভারতের বাসিন্দাদের ১২ সংখ্যার এই নম্বরটি ইস্যু করে থাকে কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সমস্ত নিয়মনীতি পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হবার পর।
ইউনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(উদাই)নীতি আয়োগের অধীনে কাজ করছে। আধার নম্বরের ব্যবস্থাপনা এবং আধার আইডেনতিফিকেশন কার্ড ইস্যু করার দায়িত্ব তাদের ওপরই। কোনও ব্যক্তির বয়স ও লিঙ্গ নির্বিশেষে যিনি ভারতের বাসিন্দা স্বেচ্ছায় আধার নম্বর পেতে নিজের নাম লেখাতে পারবেন। আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ন্যূনতম জনবিন্যাস এবং বায়ো মেট্ৰিক তথ্যাদি দিতে হবে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়া চলাকালে,যা সম্পূর্ণ নিখরচায় করা যাবে।
জিএডি-র কমিশনার এম অঙ্গামুথু দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন,আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়া ১১টি জেলায় প্ৰত্যাশার চেয়েও কম দেখা গেছে। ‘এই জেলাগুলো হচ্ছে বিশ্বনাথ,বঙাইগাঁও,কাছাড়,ডিব্ৰুগড়,হাইলাকান্দি,করিমগঞ্জ,কামরূ প(মেট্ৰো),কামরূপ,নলবাড়ি,শিবসাগর ও তিনসুকিয়া’। কমিশনার অঙ্গামুথু আরও উল্লেখ করেন,মেসার্স বালাজি কনস্ট্ৰাকশন লিমিটেড এবং মেসার্স পারিজা এন্টারপ্ৰাইজকে আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়ায় দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্য তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাদের এ মাস থেকে আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়া জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুটো ফার্মকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে তারা যদি সরকারের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের এই চুক্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া সহ প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।
২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে জিএডি রাজ্যে আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়ার দায়িত্ব নেয়। এরপর টেন্ডার ডেকে বিভাগ ছটি ফার্মকে আধার প্ৰক্ৰিয়া চালানোর দায়িত্ব সঁপে দেয়।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে চত্বরে সর্বমোট ১২৪১টি আধার এনরোলমেন্ট ,কেন্দ্ৰ স্থাপন করা হয়েছিল। ২০১৯-এর ১৫ ফেব্ৰুয়ারি থেকে রাজ্যে আধারে নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰক্ৰিয়া স্থগিত রাখা হয়েছিল এনআরসি আবেদনকারীদের দাবি ও আপত্তি নিয়ে শুনানির কাজ চলায়। তবে সুপ্ৰিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসির দাবি ও ওজর আপত্তি নিয়ে শুনানিকালে কিছু লোকের আধারের জন্য বায়োমেট্ৰিক ডাটা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল। এদিকে জিএডির নির্দেশে ২০১৯ এর ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে আধার এনরোলমেন্টের প্ৰক্ৰিয়া ফের শুরু হয়েছে। জিএডি সব জেলাশাসক ও ফার্মগুলোকে আধার প্ৰক্ৰিয়া নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর থেকে। কিন্তু এরপরও বহু আধার কেন্দ্ৰে কাজ হচ্ছে না।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ উ.পূর্ব গ্ৰন্থমেলায় অসম আন্দোলনের ওপর লেখা বইয়ের কাটতি ভালই হয়েছে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Two wild jumbo’s mysterious deaths in Sivasagar sparks outrage