গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটি মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের মূল্য রাতারাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্ৰাহকদের মাথায় রীতিমতো হাত পড়েছে। গত তিনদিন ধরে গুয়াহাটির বিভিন্ন বাজারে প্ৰতি কেজি পেঁয়াজের দর উঠেছে ৭০,৭৫ ৬৮ টাকায়। কোনও কোনও বাজারে ভালো লাল পেঁয়াজ বিকোচ্ছে কিলো প্ৰতি ৮০ টাকা দরে।
পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে রাজ্যের খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্ৰী ফণীভূষণ চৌধুরী বুধবার দিশপুরে বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা এবং পেঁয়াজ ও আলু ব্যবসায়ী সংস্থার সদস্যের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে মন্ত্ৰী চৌধুরী এটা পরিষ্কার করে বলে দেন বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের এই বর্ধিত মূল্য কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এব্যাপারে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এবং পেঁয়াজের পাইকারি বাজারের অবস্থা যাচাই করে মন্ত্ৰী বণিকদের খুচরো বাজারে প্ৰতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৬৬ টাকা করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। আলু এবং পেঁয়াজ বণিক সংস্থা খুচরো পেঁয়াজ বিক্ৰির ক্ষেত্ৰে মন্ত্ৰীর বেঁধে দেওয়া ওই দর লাগু করার বিষয়টি মেনে নেয়।
বৈঠকে বণিক সংস্থার সদস্যরা বলেন,গত তিন মাস নাসিকে প্ৰচণ্ড বৃষ্টি হওয়ার জন্যই পেঁয়াজের দর এভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মধ্যে নাসিকেই সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে এবং ওখান থেকে অসমে পেঁয়াজ আসে। মন্ত্ৰীর সঙ্গে বৈঠকের পর আলু ও পেঁয়াজ বণিক সংস্থার সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,নাসিকে পেঁয়াজ ল্মজুতের ক্ষেত্ৰে স্থিতিশীল অবস্থা ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে যে খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগের নিম্ন বর্গের কর্মীরা রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বিষটির তদারকি যথাসময়ে করছেন না। যার দরুন এই পণ্যের মূল্য রাতারাতি অস্বাভাবিকভাবে হুহু করে বেড্ৰে চলেছে। পেঁয়াজ যেহেতু আবশ্যক সামগ্ৰীর মধ্যে পড়ে সেই হেতু এই পণ্যের স্বাভাবিক দর বজায় রাখতে না পারার জন্য কেউ কেউ জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তাক করেছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ মাসের পর মাস কেটে যাওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের বন্যাদুর্গতরা আজও পাননি ক্ষতিপূরণ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Bodoland International Paragliding Accuracy Championship