সংবাদ শিরোনাম

নজিরায় পুরনো দিনের ইটের তৈরি রহস্যজনক সুড়ঙ্গ ও কাঠামো উদ্ধার

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ শিবসাগর জেলার নাজিরার হাতিপট্টিতে পুরনো দিনের একটা রহস্যজনক সুড়ঙ্গ এবং কয়েকটি কাঠামোর সন্ধান পাওয়া গেছে। সুড়ঙ্গ এবং কাঠামোগুলো পুরনো আমলের ইটের তৈরি। সুড়ঙ্গ এবং কাঠামোগুলো উদ্ধার হওয়ায় বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্ৰশ্নের অবতারণা করেছে। প্ৰশ্ন উঠছে এগুলোর উৎস,নির্মাণের উদ্দেশ্য এবং কবে এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল ইত্যাদি বিষয়ে।

সূত্ৰটি দ্য সেন্টনেলকে জানিয়েছে যে মেকেপুর টি এস্টেটের কাছে গত সপ্তাহে কিছু কিশোর ওই স্থানটিতে বল খেলছিল। হঠাৎ তাদের বলটি ঝোপ-ঝাড়ে ঘেরা সুড়ঙ্গের মুখে গিয়ে পড়ে। ছেলেরা বল খুঁজতে নেমে ওই স্থানে একটা গর্ত দেখতে পায়। এই গর্তটি ক্ৰমশ মাটির নিচ দিয়ে এগিয়ে গেছে এবং অবশেষে এটা যে একটা সুড়ঙ্গ বু্ঝতে অসুবিধা হয় না। ঘটনা ক্ৰমে,প্ৰতিবছরই ওই এলাকায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপ নির্মাণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এতদিন কেউ আঁচই করতে পারেননি যে ওখানে একটা সুড়ঙ্গ রয়েছে।

এই ঘটনার কথা জানতে পেরে রাজ্যের প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের সঞ্চালক ড.দীপরেখা কাউলিকে অবিলম্বে ওই স্থানে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশের পরই পাঁচজনের বিশেষজ্ঞ দল টেকনিক্যাল অফিসার নবজিৎ দেউরি,এক্সপ্লোরেশন অফিসার ছবিনা হাসান,কনজারভেশন অফিসার কঙ্কনজ্যোতি শইকিয়া,কনজারভেশন আধিকারিক দেবোলীনা শর্মা এবং মনুমেণ্ট অ্যাটেনডেণ্ট কদম দুয়রা ওই স্থানে গিয়ে হাজির হন। তাঁরা গত দুদিন ধরে ওই স্থানটি সম্পর্কে তদন্ত ও মাটি খুঁড়ে খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখছেন।

প্ৰাথমিক তদন্তে বোঝা গিয়েছে সুড়ঙ্গটি ২০ মিটার দীর্ঘ এবং এর প্ৰস্থ ১.২৮ মিটার ও গভীরতা ৭২ সেন্টিমিটার। সুড়ঙ্গটি ইটের তৈরি। বিশেষজ্ঞ দল আরও তদন্ত করে সুড়ঙ্গের আশেপাশে আয়তক্ষেত্ৰ এবং বর্গক্ষেত্ৰ আকারের বেশকটি কাঠামোও দেখতে পান। বিশেষজ্ঞরা টেরাকোটার টাইলসে খোদাই করা দুটো শব্দও দেখতে পান। একটি শব্দ ‘মহারাজা’ এবং অন্যটি ‘মহালয়া’। বড় কাঠামোটি সিল করতেই এগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই স্থানে ইটের তৈরি গেটও দেখতে পান দলটি ।

টেকনিক্যাল অফিসার নবজিৎ দেউরি এবং এক্সপ্লোরেশন অফিসার ছবিনা হাসান দ্য সেন্টিনেলকে জানান,স্থানীয় মানুষ এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনু্যায়ী ব্ৰিটিশ আমলে এই স্থানে একটা হ্যারিটেজ বাংলো ছিল। তবে বিশেষজ্ঞ দলের ধারণা,ওই বাংলোতে সম্ভবত বাতাসের অবাধ প্ৰবাহের জন্যই ইটের কাঠামোগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। ‘বিস্তারিত তদন্তের পরই এই সব রহস্যময় কাঠামো সম্পর্কে আরও তথ্য প্ৰকাশ্যে আসবে’-বলেছে প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের সূত্ৰটি। দলটি ওই স্থানে যা কিছু পেয়েছে সে সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছে তাদের প্ৰাথমিক রিপোর্ট দাখিল করবে। যে জায়গার মাটি খোড়া হয়েছে সেই স্থানটি বর্তমানে নাজিরার হাতিপট্টির ম্যাকেপুর টি এস্টেটের অধীনে থাকার বিষটিও তারা সরকারকে জানাবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: ABYSF, NLFB (pro-talk)& Ex BTF submits memorandum to CM Sonowal