নয়াদিল্লিঃ চিন-অরুণাচল প্ৰদেশ সীমান্তের ভিতর প্ৰায় ৬০ কিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে। তাই এখনই যদি ওদের রোখা না যায় তাহলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যটিতে ডোকলামের মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। অরুণাচল প্ৰদেশের বিজেপি সাংসদ তাপির গাঁও এই সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছেন। মঙ্গলবার লোকসভায় জিরো আওয়ারে এই গুরুতর প্ৰসঙ্গটি উত্থাপন করে সাংসদ তাপির গাঁও বলেন,যখনই রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি,প্ৰতিরক্ষা মন্ত্ৰী রাজনাথ সিং,স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ অরুণাচল প্ৰদেশ সফরে আসছেন তখনই বেইজিং আপত্তি তুলছে। এই সেদিনও স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিঙের অরুণাচল প্ৰদেশ সফরকালে চিন আপত্তি তুলেছিল।
‘আমি সদন এবং প্ৰচার মাধ্যমকে চিনের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি’-বলেন তাপির গাঁও। ‘ডোকলামের মতো পরিস্থিতি যদি ফের চাড়া দেয় তাহলে সেটা ঘটবে অরুণাচল প্ৰদেশেই। কারণ চিন-অরুণাচল প্ৰদেশের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে প্ৰায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে’। এব্যাপারে অবিলম্বে প্ৰয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন অরুণাচল প্ৰদেশের এই সাংসদ।
সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্ব চাঙ্গা করার লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার প্ৰতিরক্ষামন্ত্ৰী রাজনাথ সিং মৈত্ৰী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাওয়াং-এর সীমান্ত এলাকা সফরে এসেছিলেন। ওই সময় চিনা বিদেশ মন্ত্ৰকের একজন মুখপাত্ৰ বেইজিঙে বলেছেন,‘চিন সরকার তথাকথিত অরুণাচল প্ৰদেশকে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি’। চিন-অরুণাচল প্ৰদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের একটা অংশ বলেই বিবেচনা করে।
২০১৭ সালে ভারত ও চিনা সেনার উপস্থিতিতে ডোকলামে ৭০ দিনেরও বেশি এক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ভুটান-ভারত ও চিন সীমান্তে রয়েছে ডোকলাম এলাকা। ডোকলাম সীমান্তে চিন সেনার একটি সড়ক নির্মাণ নিতে ভারত প্ৰতিবাদ করেছিল। ভারত ও চিন সেনা ৭০ দিনেরও বেশি সময় ডোকলামে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল ওই সময়। পরে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হওয়ায় ওই অচলাবস্থার অবসান ঘটে।
অরুণাচল প্ৰদেশের এই সাংসদ গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন যে চিন সেনা অরুণাচল প্ৰদেশের প্ৰত্যন্ত আনজাও জেলায় ঢুকে একটি জলাধারের ওপর সেতুও নির্মাণ করেছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এপিএসসি কেলেংকারির বিচার প্ৰক্ৰিয়া শুরু,অভিযুক্তরা পাচ্ছে আত্মপক্ষ সমর্থনের সু্যোগ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Congress party and Rahul Gandhi must apologize to the country: Assam BJP