গুয়াহাটিঃ এমপ্লয়িজ প্ৰভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন(ইপিএফও)উত্তর পূর্বাঞ্চলে পাব্লিক এবং বেসরকারি প্ৰতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা যাতে কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিধির টাকা নিয়মিত জমা দেন,তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি ডিফল্ট ম্যানেজমেন্ট কাম্পেইন শুরু করেছে।
অ্যাডিশনাল সেন্ট্ৰাল প্ৰভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার(হেডকোয়ার্টার)কেএল গোয়েল সোমবার এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন,নতুন দিল্লির ইপিএফও-র সেন্ট্ৰাল ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালেইসেস ইউনিট যে তালিকা প্ৰস্তুত করেছে তাতে দেখা গেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্ৰতিমাসে কর্মীদের পিএফ খেলাপি প্ৰতিষ্ঠানের সংখ্যা প্ৰায় ৩ হাজার। তিনি বলেন,কোনও প্ৰতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী যদি প্ৰতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কর্মচারীদের ভবিষ্য নিধির(পিএফ)টাকা জমা না দেন তাহলে ওই সমস্ত প্ৰতিষ্ঠানকে ডিফলটার অর্থাৎ খেলাপিদের তালিকাভুক্ত করা হবে।
‘ইপিএফ এবং ১৯৫২ সালের এমপি আইনের বিধি ব্যবস্থা মেনে চলার স্বার্থে আমরা সমস্ত নিয়োগ কর্তাদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে এবং প্ৰতি মাসে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মীদের পিএফ-এর অর্থ জমা দিতে আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই পন্থা সঠিকভাবে মেনে চলা হলে প্ৰতিষ্ঠানগুলির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির ক্ষেত্ৰে কোনও রকম আঁচ লাগবে না’। গোয়েল আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার আই গুয়াহাটি পি হানসিঙের কাজের প্ৰশংসা করেন। হানসিং অসম রাজ্য পরিবহণ নিগমের(এএসটিসি)ওপর লাগাতার চাপ দিয়ে চলেছেন কর্মচারীদের ইপিএফও-র টাকা জমা দেওয়ার জন্য। উল্লেখ্য,এএসটিসি কর্মচারীদের ৪৪ কোটি পিএফ-এর টাকা আজ অবধি জমা দেয়নি। তিনি বলেন,এএসটিসি গত কয়েক বছর থেকে কর্মচারীদের পিএফ-এর টাকা অনাদায়ী রেখেছে। এপর্যন্ত তারা প্ৰায় ২৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।
গোয়েলের মতে,পিএফ খেলাপি প্ৰতিষ্ঠানগুলির তালিকা প্ৰস্তুত করা হচ্ছে এবং শীর্ষ ১০টি খেলাপি প্ৰতিষ্ঠানের তালিকা সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই অঞ্চলের সাত রাজ্যকে নিয়ে ইপিএফও-র এনই জোন আনুমানিক ৩০,৯৩১টি প্ৰতিষ্ঠানকে কভার করছে। এর মধ্যে ৭৫৭৯টি প্ৰতিষ্ঠান নিয়মিতভাবেই পিএফ এর টাকা জমা দিচ্ছে। ২০১৮-১৯ সালে প্ৰায় ৫৬৭১ টি নতুন প্ৰতিষ্ঠান ইপিএফও-র তালিকাভুক্ত হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে(২০১৯-২০)উত্তর পূর্বাঞ্চলে ৩১৫৬ টি নতুন প্ৰতিষ্ঠান ইপিএফও-র আওতায় এসেছে। গোয়েল বলেন,যে সব প্ৰতিষ্ঠান পিএফ ফাঁকি দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করতে ইপিএফও তাদের ফিল্ড অফিসারদের চাঙ্গা করে তোলার ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। তিনি বলেন,কর্মচারীরা তাদের বেতন থেকে ১২ শতাংশ অর্থ পিএফ-এ জমা রাখতে হয়। অনুরূপভাবে প্ৰতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারীরাও ওই একই পরিমাণ অর্থ প্ৰত্যেক কর্মচারীর ভবিষ্যৎ নিধি খাতে কর্মীদের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করার নিয়ম। পিএফ-এ জমা পড়া অর্থের ওপর ৮.৬৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। যে সব কর্মীরা একজন এবং তার বেশি মালিকের অধীনে ১০ বছর টানা কাজ করেছেন তারা অবসর গ্ৰহণের পর পেনসনও পেতে পারেন যদি পূর্বের জমাকৃত টাকা তুলে না নেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি দখলকারীদের বিদ্যুৎ সংযোগ,বন এবং এপিডিসিএল দায়িত্ব এড়াতে পারে না
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: CCTV footage | Thieves try to break open Locker Machine inside SBI premises in Digboi! But failed