সংবাদ শিরোনাম

বফর্স,কপ্টার,সাবমেরিন কেলেংকারি ইস্যুতে কংগ্ৰেসকে তুলোধোনা করলেন মোদি

Sentinel Digital Desk

সাগর(মধ্যপ্ৰদেশ): প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি রবিবার এখানে এক নির্বাচন সমাবেশে শুরু থেকে আক্ৰমণাত্মক মেজাজ নিয়ে কংগ্ৰেসকে আবারও বিঁধলেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী গোড়াতেই উত্থাপন করেন বফর্স কেলেংকারির কথা। এরপরই কংগ্ৰেসের হেলিকপ্টার ও সাবমেরিন কেলেংকারির কাহিনীও তোলেন তিনি।

রবিবার মধ্যপ্ৰদেশের সাগরে এক নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মোদি। প্ৰধানমন্ত্ৰী কংগ্ৰেস সভাপতির নাম উচ্চারণ না করে তাকে নামদার সম্বোধন করে বলেন,ইংল্যান্ডে ‘ব্যাকআপস’ নামে নামদারের একটি কোম্পানি রয়েছে। ২০০৯ সালে এই কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এখন এটা প্ৰকাশ্য আলোয় এসেছে যে ২০১১ সালে এই কোম্পানির পার্টনার সাবমেরিন চুক্তির বরাত পায়। ওই সময় কংগ্ৰেসই কেন্দ্ৰের ক্ষমতায় ছিল। ব্যাকআপস কোম্পানির পার্টনার কিভাবে সাবমেরিন নির্মাণে এই বরাত পেল-প্ৰশ্ন তোলেন মোদি। মোদির মতে,কংগ্ৰেসের দুর্নীতির জন্য দেশের উন্নতি থমকে পড়েছিল।

পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলা এবং সম্প্ৰতি রাষ্ট্ৰপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ পাক মদতপুষ্ট জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের প্ৰধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্ৰাসী ঘোষণা করা প্ৰসঙ্গে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,‘কংগ্ৰেসের ঢিলেঢালা নীতির জন্যই জঙ্গিরা এদেশে ঢুকে বিস্ফোরণ ও ভারতকে হুমকি দেওয়ার সু্যোগ পেয়েছে। ওই সময়ও কেন্দ্ৰে একটা সবল সরকার থাকা সত্ত্বেও তাদের শুধু সারা বিশ্বের কাছে কাঁদতেই দেখা গেছে’।

‘অন্যদিকে বর্তমানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার জঙ্গি নাশকতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী স্ট্যাটিজি গ্ৰহণ করে। কারণ চৌকিদার সব সময় সতর্ক রয়েছেন। তাই জঙ্গিদের কাছে এখন এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে তারা কোনওরকম আঘাত হানলে নতুন ভারত তার পাল্টা জবাব না দিয়ে ক্ষান্ত থাকবে না’-বলেন মোদি।

তিনি বলেন,‘শহিদের মৃত্যু নেই একথা বলেই আমরা শান্ত থাকবো না,শহিদের ঝরা প্ৰতি বিন্দু রক্তের প্ৰতিশোধ নেবো আমরা। মাসুদ আজহার নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় পাকিস্তানের মুখে একটা চপেটাঘাত পড়েছে। তবে এটা সবে শুরু। তাই পাকিস্তান কী চায় সেটা তারাই ঠিক করুক’। কংগ্ৰেসকে তুলোধোনা করে প্ৰধানমন্ত্ৰী আরও বলেন,২০০৪ সালে কংগ্ৰেস ক্ষমতায় আসে। ওই সময় তাদের রাজকুমার পরিণত ছিলেন না। এখানে রাহুলকেই বোঝাতে চেয়েছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। তাঁকে তারা প্ৰশিক্ষণও দিয়েছিল। কিন্তু ওই চেষ্টা বৃথা গেছে। এই প্ৰক্ৰিয়ায় অ্যাক্টিং প্ৰাই মিনিস্টার বসিয়ে দেশের ১০টা বছর সময় তারা নষ্ট করেছে। অ্যাক্টিং প্ৰাই মিনিস্টার বলতে মোদি প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিংকেই বোঝাতে চেয়েছেন।