সংবাদ শিরোনাম

ময়নাতদন্তের রিপোর্টঃ ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে গ্ৰেপ্তার জিএমসিএইচ-এর ডাক্তার

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ কিছু চিকিৎসকের অবাঞ্ছিত কার্যকলাপ চিকিৎসা জগতকে কলুষিত করছে। মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইস্যুর নামে চিকিৎসকের টাকা দাবি করার ঘটনা সত্যিই লজ্জাজনক। এ ধরনের একটি ঘটনা প্ৰকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের একটি শীর্ষ সরকারি হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।

অসম পুলিশের ভিজিল্যান্স এবং দুর্নীতি বিরোধী শাখার কর্মীরা মঙ্গলবার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের(জিএমসিএইচ)ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডা. মনোজ কুমার বৈশ্যকে গ্ৰেপ্তার করেছেন। ঘুষের দ্বিতীয় কিস্তির ৮ হাজার টাকা নাবার সময় বৈশ্যকে হাতেনাতে গ্ৰেপ্তার করেন ভিজিল্যান্স ও দুর্নীতি বিভাগের কর্মীরা। অভি্যুক্তের কাছ থেকে ঘুষের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগকারী হরেন কুমারকে অভিযুক্ত চিকিৎসক ময়নাতদন্তের যে সার্টিফায়েড রিপোর্টটি সমঝে দিয়েছিলেন সেটিও হরেন কুমারের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ঘুষের টাকা হাতে পাওয়ার পরই অভিযুক্ত ডা.বৈশ্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি কুমারকে সমঝে দিয়েছিলেন বলে খবরে প্ৰকাশ। ওই খবরে আরও জানা গেছে,এরআগেও ডা. বৈশ্য কুমারের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।

সূত্ৰটি জানিয়েছে যে হরেন কুমারের বড় ভাই প্ৰয়াত রামেশ্বর প্ৰসাদ শাহ যিনি গত ১৯ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। রামেশ্বর অসম রাজভবনের কর্মী ছিলেন। রামেশ্বরের মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পূর্ণ হবার পর ডা. মনোজ বৈশ্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংগ্ৰহ করার জন্য অভিযোগকারী কুমারকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ডা. বৈশ্য দেখা করার আগে যোগাযোগ করার জন্য কুমারকে তার টেলিফোন নম্বরও দিয়ে দেন।

সেই অনু্যায়ী কুমার সমস্ত রকম যোগাযোগ করে গত ১৪ অক্টোবর বেলা ২.৩০ নাগাদ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংগ্ৰহের জন্য ডা.বৈশ্যর সঙ্গে দেখা করেন। তখন ডা. বৈশ্য স্ট্যান্ডার্ড পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ইস্যু করার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়ে বসেন। ওই সময় কেউই কোনও আপত্তি তোলেননি। অবশেষে আলাপ আলোচনায় দাবির অঙ্ক কমিয়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। অভিযোগকারী সঙ্গে সঙ্গেই ৪ হাজার আদায় দেন ডাক্তারকে।

ঘুষের বাকি টাকা ওই সরকারি চিকিৎসককে দিতে কুমার মোটেও রাজি ছিলেন না। তবে মুখে কোনও কিছু না বলে কুমার অসম পুলিশের ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স অ্যান্ড করাপশন বিভাগের এসিবির সঙ্গে দেখা করেন। এর পরই ২০১৮-র সংশোধিত দুর্নীতি প্ৰতিরোধ আইনের৭(এ)ধারার অধীনে এসিবি পিএস কেস নং ১৩/২০১৯ তাং ২১-১০-২০১৯ অনু্যায়ী ফাঁদ পাতা হয় এবং হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় ডা.বৈশ্যকে। আজ অভিযুক্তকে বিশেষ বিচারপতির আদালতে তোলার কথা।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: ILP checking at border areas of Assam-Arunachal Pradesh raises uproar among public