সংবাদ শিরোনাম

পুলিশ কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার ক্ৰমবর্ধমান প্ৰবণতা বিশ্লেষণে কমিটি গঠিত

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ সাম্প্ৰতিককালে অসম পুলিশ কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে চলেছে। পুলিশ কর্মীদের আত্মহত্যার ঘটনাকে ক্ৰমবর্ধমান একটা বিশৃঙ্খল প্ৰবণতা বলে মনে করা হচ্ছে। আত্মহত্যার ঘটনার কারণ তলিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দীপক কুমার এই কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন। এই কমিটি আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করবে এবং প্ৰতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণের পথ বাতলে দেবে। কমিটি দশদিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দাখিল করবে। রাজ্যে গত পাঁচ বছরে পুলিশ কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্ৰবণতা এবং এর কারণ খতিয়ে দেখবে কমিটি। কেন একাংশ পুলিশ কর্মী আত্মহত্যার মতো ঝুঁকি নিচ্ছেন তার তদন্ত করা ছাড়াও আত্মহত্যার প্ৰবণতা থাকা পুলিশ কর্মীদের চিকিৎসা ও এর ব্যয়ভার বহনের বিষয়টিও দেখবে কমিটি। পুলিশ কর্মীদের আত্মহত্যার মতো এই বিপজ্জনক প্ৰবণতা রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় কমিটি সেই বিষয়টির প্ৰতি আলোকপাত করে প্ৰয়োজনীয় সুপারিশ রাখবে। গত ১৬ ফেব্ৰুয়ারি গুয়াহাটির খারঘুলিতে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের বাসভবনে একজন পুলিশ কর্মীর আত্মহননের ঘটনার পরিপ্ৰেক্ষিতেই এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ গৌরব উপাধ্যায় এবং নন্দ সিং এবং দশম ব্যাটেলিয়নের মেডিক্যাল ও হেলথ অফিসার ড.দীপজ্যোতি শর্মা।

এদিকে,অসম পুলিশের একজন অবসরপ্ৰাপ্ত আইজিপি দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন,‘এধরনের আত্মহত্যার ঘটনার আড়ালে চারটি কারণ থাকতে পারে। এগুলো হচ্ছে,স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ইস্যু,পারিবারিক কলহ,আর্থিক অসচ্ছলতা এবং অত্যধিক কাজের চাপ। এই ইস্যুগুলি নিয়েও গভীরভাবে তদন্তের প্ৰয়োজন রয়েছে’। তিনি আরও বলেন,‘অনেক পুলিশ কর্মী আছেন যারা নিজেদের প্ৰায়ই অসহায় বোধ করেন। প্ৰয়োজনের সময় পুরুষ বা মহিলা পুলিশ কর্মীরা ছুটি(সিএল)পান না। কখনো কখনো ঊর্ধ্বতম পুলিশ কর্তার দুর্ব্যবহারও পুলিশ কর্মীদের মনকে ভারাক্ৰান্ত করে তোলে’।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: ‘Dehal Kasirodam Utsav’ by Karbi Community observed in Guwahati