সংবাদ শিরোনাম

লাগাতার নদী ভাঙন কাজিরঙায় জমির পরিসর সঙ্কুচিত করছে

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ বন্যায় কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের নাম সংবাদপত্ৰের শিরোনামে উঠে আসায় বিভিন্ন মহল এমনিতেই উৎকন্ঠিত। এই উৎকন্ঠা আরও বেড়ে গেছে উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ব্ৰহ্মপুত্ৰের ভাঙন অব্যাহত থাকায়। নদী ভাঙনে বিশ্ব শ্ৰেষ্ঠ কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের পরিসর ক্ৰমশ সঙ্কুচিত হওয়ার উপক্ৰম হওয়ায় বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ,উৎকন্ঠা আরও বেড়ে গেছে। উদ্যান লাগোয়া এলাকায় নদীর ভাঙন অপ্ৰতিহত গতিতে চলেছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰের ভয়ঙ্কর ভাঙনে বিশেষ করে উদ্যানের অগরাতলি রেঞ্জে গুরুতর হুমকির সৃষ্টি করেছে। এই অগরাতলি রেঞ্জটি উদ্যানের একেবারে পুব সীমানায় রয়েছে। এক খড়গ বিশষ্ট গন্ডারের বিচরণ ভূমি অগরাতলি রেঞ্জের পরিসর ক্ৰমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে নদীর লাগাতার করাল ভাঙনে। গন্ডারের বিচরণ স্থলের একটা বিরাট অংশ ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উদ্যানের উত্তর সীমানায়ও সমান্তরালভাবে চলছে নদীর ভাঙন। লাগাতার ভাঙনে অগরাতলি রেঞ্জে গন্ডারের সংখ্যাও কমে আসছে।

বন সংরক্ষণ ও বন্য জীবনের সঙ্গে সস্পৃক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন,নদী ভাঙন ঠেকাতে অবিলম্বে প্ৰতিরোধ মূলক কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা না হলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে আগামি দিনে। ভাঙনের মুখে পড়া ওই এলাকাটিতে গন্ডারকুল অবাধে ঘুরে বেড়াতো।

অগরাতলির পুব ও উত্তর প্ৰান্তে নদী ভাঙন অত্যন্ত ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। প্ৰতি বছরের ভাঙনে অগরাতলি রেঞ্জের গন্ডারের বিচরণ ভূমির প্ৰায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকা নদী ইতিমধ্যেই গ্ৰাস করে নিয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার সময় থেকেই নদীর ভাঙন চলছে।

অন্যদিকে,বন সংরক্ষক একটা দল বলেছে,কাজিরঙায় বন্যা কাজিরঙায় নদী ভাঙন চললেও তা ততটা গুরুতর নয়। তাদের মতে নদীর ভাঙনে ভূমি সঙ্কুচিত হলেও প্ৰাকৃতিক উপায়ে বালি,মাটি জমে আরেকটা দিক উঁচু হচ্ছে।

প্ৰকৃতিবিদ বিভূতি লহকর দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন,প্ৰতি বছরের বন্যা কাজিরঙার বন্য জীবনে একটা নতুন জীবন ধারার জন্ম দিলেও ভাঙনের সমস্যাটি কোনও ভাবে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। তিনি বলেন,বন্যা কাজিরঙার আদ্ৰ ভূমিগুলোতে পলি দিয়ে ভরাট করে। তবে ভাঙন বিরোধী ব্যবস্থায় এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে বন্যার জল উদ্যানে ঢোকা যাতে বন্ধ হয়ে না যায়। লহকর মানস রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের গ্ৰাসল্যান্ড সংরক্ষণের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন।