সংবাদ শিরোনাম

এনআরসি নবায়ন,আজ থেকে শুরু হলো দাবি ও আপত্তির শুনানি পর্ব

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়নের কাজ এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। খসড়া ছুটরা যে দাবি ও ওজর আপত্তি দাখিল করেছেন তার নিষ্পত্তি প্ৰক্ৰিয়া শুরু হল আজ(শুক্ৰবার)থেকে। গত ৩০ জুলাইয়ে প্ৰকাশিত নাগরিক পঞ্জির সম্পূর্ণ খসড়া থেকে বাদ পড়ে মোট ৪০.০৭ লক্ষ লোকের নাম। খসড়া ছুটদের মধ্যে এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ফের আবেদন করেছেন ৩৬.২ লক্ষ লোক। রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছিল ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৩৮৪ জন। এখন এই ৩৬.২ লক্ষ লোকের নাগরিকত্ব পুনরায় যাচাই করে দেখা হবে।

সম্পূর্ণ খসড়ায় ঠাঁই পেয়েছিল ২.৮৯ কোটি লোকের নাম। খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত প্ৰায় ২লক্ষ লোকের নামে আপত্তি দাখিল করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে বিশাল কর্মযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। সেবা কেন্দ্ৰ থেকে স্থানান্তর করে বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে শুনানি কেন্দ্ৰগুলি। এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে মোট ৩,৪৫৭ জন সরকারি কর্মী,আধিকারিক। তবে এঁদের লোকসভা ভোটের কাজে লাগানো হবে না। এব্যাপারে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্ৰোসিডিউর(এসওপি)নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করেছে সুপ্ৰিমকোর্ট। খসড়া ছুটদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় থাকায় শুনানিকালে তাঁদের বায়োমেট্ৰিক তথ্যও সংগ্ৰহ করা হবে।

এই ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য রাজ্যে আধার কার্ড ইস্যু প্ৰক্ৰিয়ায় কিছুদিনের জন্য ব্যাঘাত জন্মাতে পারে। দাবি ও আপত্তির শুনানিতে যাদের ডাকা হবে তাদের হাতের আঙুল,চোখের ছাপ ইত্যাদি নেওয়া হবে। শুনানি কেন্দ্ৰেই বায়োমেট্ৰিক তথ্য সংগ্ৰহের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। আধার কার্ডের নিয়োজিত কর্মীরাই একাজ করবেন। রাজ্যে বর্তমানে ১,২৪১টি আধার কেন্দ্ৰ রয়েছে। এই আধার কেন্দ্ৰগুলিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে শুনানি কেন্দ্ৰগুলিতে। তবে যাদের আধার কার্ড রয়েছে তাদের এনআরসি-র জন্য বায়োমেট্ৰিক ডাটা লাগবে না।

নাগরিক পঞ্জির জন্য এনআরসি-র জন্য আবেদনকারীদের উদ্দেশে রাজ্য কার্যালয় থেকে বাড়িতে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। কমপক্ষেও শুনানির দশদিন আগে আবেদনকারীর ঘরে নোটিশ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা। কোথায় এবং কোন কেন্দ্ৰে আবেদনকারীকে উপস্থিত হতে হবে নোটিশে তার উল্লেখ থাকবে। তাছাড়া শুনানির জন্য কোথায় হাজির হতে হবে তা নাগরিক পঞ্জির ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

সুপ্ৰিমকোর্টের নির্দেশে আগামি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শুনানি ও ওজর আপত্তি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্য নিয়েছেন এনআরসি কর্তৃপক্ষ। তাই ১৫ ফেব্ৰুয়ারি থেকে শুরু করে ১৫ এপ্ৰিলের মধ্যে শুনানির কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে।