সংবাদ শিরোনাম

এনআরসির কাজে নিযুক্ত মরিগাঁওয়ের শিক্ষক খাইরুল ইসলামকে বিদেশি ঘোষণা করল হাইকোর্ট

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়নের কাজে নিযুক্ত মরিগাঁও জেলার একটি সরকারি প্ৰাথমিক স্কুলের শিক্ষক খাইরুল ইসলামকে গৌহাটি হাইকোর্ট বিদেশি ঘোষণা করেছে। মরিগাঁওয়ের বিদেশি ট্ৰাইবুনালও এর আগে খাইরুলকে বিদেশি ঘোষণা করেছিল। বিলম্বে পাওয়া এক খবরে জানা গেছে হাইকোর্ট মরিগাঁও বিদেশি ট্ৰাইবুলানের রায় বহাল রেখে গত ১৩ জুন মামলাটির নিষ্পত্তি করে খাইরুলকে বিদেশি ঘোষণা করে। এনআরসি সেবাকেন্দ্ৰ থেকে খাইরুল যাচ্ছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে। খাইরুল হাইকোর্ট থেকে জামিন সংগ্ৰহ করেছিলেন বলে ভেবেছিল মরিগাঁও প্ৰশাসন তবে সম্প্ৰতি জেলা প্ৰশাসন খাইরুলকে এনআরসির কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়। মরিগাঁও পুলিশ খাইরুলকে বিদেশি ঘোষণা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশটি এখনও হাতে পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী খাইরুলকে এখন ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো উচিত।

মরিগাঁওয়ের পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা সেন্টিনেলকে বলেন,গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই আমরা খাইরুলকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবো। মরিগাঁও জেলার টেংশালি খান্দাপুখুরি প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাইরুল। জেলার মিকিরভেটা এনআরসি সেবাকেন্দ্ৰে তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। একজন বিদেশি হয়ে তিনি কি করে সরকারি চাকরি পেলেন এবং কিভাবেই তিনি এনআরসির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত হলেন তা নিয়ে প্ৰশ্ন উঠেছে। খাইরুল এনআরসি-র যে সব নথিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন,প্ৰশ্ন উঠেছে সেগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও। মরিগাঁও জেলায় ২০০ জন ঘোষিত বিদেশি সন্দেহভাজন ভোটার ও তাদের আত্মীয়র নাম এনআরসি-র সম্পূর্ণ খসড়ায় ঠাঁই পেয়েছে। জেলা প্ৰশাসন এই সব নাগরিকের নাম এনআরসি-র খসড়া থেকে ছেঁটে ফেলতে বাধ্য।