সংবাদ শিরোনাম

তেজপুর কেন্দ্ৰে পল্লব-ভানুর সরাসরি লড়াই হবে

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে ১১ এপ্ৰিল অনুষ্ঠেয় প্ৰথম দফা লোকসভা নির্বাচনের হাতে মাত্ৰ আর কটা দিন। তেজপুর লোকসভা কেন্দ্ৰে প্ৰথম দফায়ই ভোট হচ্ছে। এই কেন্দ্ৰে কংগ্ৰেস-বিজেপি-র লড়াই নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি প্ৰার্থী পল্লবলোচন দাস ও কংগ্ৰেস প্ৰার্থী এমজিভিকে ভানুর মধ্যে সরাসরি লড়াই হবে কেন্দ্ৰটিতে। পল্লব উন্নয়নের কথা বলে ভোট চাইছেন। প্ৰতিদ্বন্দ্বী ভানু রাজ্যে উচ্চ পর্যায়ের আমলা পদে থাকার সুবাদে ৩৬ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভোট টানার চেষ্টা করছেন।

দাস এবং ভানু ছাড়াও এই কেন্দ্ৰে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন আর পাঁচ প্ৰার্থী। এই পাঁচ প্ৰার্থী হলেন ভিপিআই-এর মহেন্দ্ৰ ওরাং,এনসিপি-র মহেন্দ্ৰ ভুঁইয়া,আদিবাসী ন্যাশনাল পার্টির বিজয় কুমার তিরু,এনপিপি-র রাম বাহাদুর সোনার এবং নির্দল প্ৰার্থী জিয়াবুর রহমান খান। এই কেন্দ্ৰে ভোটার রয়েছেন সাকুল্যে ১৪,৯৪,৮৭৮ জন। ভোট কেন্দ্ৰের সংখ্যা ১৮৮০টি। বর্তমানে এই আসনটি বিজেপি-র আরপি শর্মার দখলে রয়েছে। কিন্তু এবার দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে শর্মা তাঁর নিকটতম প্ৰতিদ্বন্দ্বী কংগ্ৰেসের ভূপেন কুমার বরাকে ৬৮,০২০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। সেবার শর্মা পেয়েছিলেন ৪,৪৬,৫১১টি ভোট। বরার পাতে ভোট পড়েছিল ৩,৬০,৪৯১টি। তেজপুর লোকসভা কেন্দ্ৰের আওতায় ৯টি বিধানসভা কেন্দ্ৰ রয়েছে। এগুলো হলো ঢেকিয়াজুলি,বরচলা,তেজপুর,রাঙাপাড়া,চতিয়া,বিশ্বনাথ,বিহালি,গহপুর এবং বিহপুরিয়া। ৯টি বিধানসভা কেন্দ্ৰের ৮টি বর্তমানে বিজেপির দখলে এবং একটি রয়েছে তাদের শরিক অগপর কব্জায়। কেন্দ্ৰের লোকজনের মনোভাব থেকে অনুমান করা যাচ্ছে বিজেপি এই কেন্দ্ৰে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

পল্লবলোচন রাজ্যের মন্ত্ৰী তথা রাঙাপাড়া কেন্দ্ৰের বিধায়ক। ভানু হচ্ছেন রাজ্য সরকারের অবসরপ্ৰাপ্ত আমলা।

কেন্দ্ৰের মানুষজনের ধারণা,বিজেপি এই কেন্দ্ৰে প্ৰচারে ভালই গতি এনেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং নেডার আহ্বায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা বেশ কবার কেন্দ্ৰটি ঘুরে গেছেন।

অন্যদিকে ভানুর পক্ষে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ গত ৩ এপ্ৰিল প্ৰচার চালিয়ে গেছেন এখানে।

কেন্দ্ৰ সফরকারী সেন্টিনেলের একটি প্ৰতিনিধিদলের প্ৰশ্নের জবাবে বিজেপি প্ৰার্থী পল্লবলোচন বলেন,‘কেন্দ্ৰের উন্নয়ন এবং সুরক্ষাই আমার নির্বাচনি লড়াইয়ের একমাত্ৰ হাতিয়ার। কেন্দ্ৰটির উত্তরাঞ্চল সন্ত্ৰাসদীর্ণ। তবে দিশপুর ও কেন্দ্ৰে পালা বদলের পর ওই এলাকায় শান্তি ফিরে এলেও উন্নয়ন প্ৰত্যাশানু্যায়ী হয়নি। এলাকাটিতে আজ আবধি নির্দিষ্ট কোনও শিল্পোদ্যোগ গড়ে ওঠেনি। তবে দেরিতে হলেও পতঞ্জলি ও ডাবর ওই এলাকায় শিল্প স্থাপনে এগিয়ে এসেছে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর। তাই উন্নয়নই হচ্ছে কেন্দ্ৰের বিকাশে অগ্ৰাধিকারের একটি’।

দাস বলেন,কেন্দ্ৰে অনেক ক্ষুদ্ৰ চা চাষি রয়েছেন। তারা সবুজ চা পাতার উচিত মূল্য পাচ্ছেন না। তাদের এই দুর্দশা ঘোচানো হবে আমার আরও একটি লক্ষ্য। কেন্দ্ৰের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জিইয়ে রাখায় গুরুত্ব দেওয়া হবে তাঁর আরও একটি কাজ।

অন্যদিকে সেন্টিনেলে প্ৰতিনিধিদের ভানু বলেন,৩৬ বছর রাজ্য সরকারের আমলা পদে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়েই আমি ভোটযুদ্ধে নেমেছি। তেজপুর এবং রাজ্যের সমস্যা দিল্লির দরবারে উত্থাপন করবো আমি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে ভানু বলেন,‘এই বিল পাস হলে অসমকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। আমি এই বিলের বিরুদ্ধে লড়বো। তাছাড়া তেজপুরকে রাজ্যের এক নম্বর কেন্দ্ৰে রূপান্তরিত করতে উন্নয়ন হবে আমার কর্মসূচির আরও একটি উদ্দেশ্য’।