সংবাদ শিরোনাম

ধর্ম নিরপেক্ষ দলের সঙ্গে কাজ করবে আসু ও নেসো

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)এবং উত্তর পূর্ব ছাত্ৰ সংগঠন(নেসো)উত্তর পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদের আবেগ-অনুভূতি ও স্বার্থ রক্ষায় সব ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কাজ করবে।

‘আমরা কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নই এবং রাজনৈতিক অভিপ্ৰায় নিয়ে কোনও দলকে সমর্থনও করছি না। উত্তর পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে অসমের ভূমিপুত্ৰ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় আমরা সব দলেরই সমর্থন নেবো’-একথা বলেন আসুর সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ।

বুধবার নয়াদিল্লিতে রাজ্যসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর নাথ এখানে সাংবাদিকদের বলেন,‘গত কয়েকদিন তারা দক্ষিণ ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে নাগরিক বিলের বিরুদ্ধে ইতিবাচক সাড়াই পেয়েছেন। বুধবার নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল(ক্যাব)উত্থাপন না করেই রাজ্যসভার অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্ৰের মোদি সরকারের এটাই ছিল সংসদের শেষ অধিবেশন। রাজ্যসভায় শাসক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার জন্যই সম্ভবত বিলটি উত্থাপন করেনি সরকার।

আসু ও নেসোর নেতারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতেই ঘাঁটি গেড়ে বসে ছিলেন,বিলের বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ের জন্য। তাঁরা কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ছাড়াও সিপিআই,সিপিআই(এম),শিবসেনা,এনপিপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এদিকে নেসোর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন,‘নেসো এই মুহূর্তটাকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের নৈতিক জয় বলে মনে করে এবং একমাত্ৰ মানুষের সম্মিলিত আন্দোলনের জন্য বিতর্কিত এই বিলটি আমরা আটকাতে পেরেছি’।

তিনি বলেন,ভারত সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। উত্তরপূর্বের স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদের সুরক্ষা ও টিকে থাকার জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে। ভট্টাচার্য আরও বলেন,নোটিফিকেশন অ্যান্ড অর্ডার ২০১৫,বিদেশিদের পাসপোর্ট এন্ট্ৰি এবং দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা ব্যবস্থা এই তিনটি ইস্যু রদ করার পক্ষে নেসো।

সরকার নাগরিকত্ব বিল পাস করাতে সক্ষম হয়নি। এখন আমরা চাই উল্লেখিত তিনটি ইস্যুর সমাধান-বলেন ভট্টাচার্য। ‘এরজন্য আমাদের গণতান্ত্ৰিক আন্দোলন ও আদালতে আইনি লড়াই চলবে’।

এদিকে নেসোর চেয়ারম্যান স্যামুয়েল জিরওয়া বলেন,কালো বিলের বিরুদ্ধে সহযোগী যে সব সংগঠন অক্লান্ত পরিশ্ৰম ও আত্মত্যাগ করেছে তাদের প্ৰতি ধন্যবাদ জানাচ্ছে নেসো। এই আন্দোলনে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য সরকার বিশেষ করে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন।