শিলং: মেঘালয়ের প্ৰধান আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্ৰ্যাটিক পার্টি(ইউডিপি)বিতর্কিত নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ইস্যুতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন উত্তর পূর্ব গণতান্ত্ৰিক জোটের(নেডা)সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বুধবার ইউডিপি-র তরফ থেকে একথা ঘোষণা করা হয়।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের ইস্তাহারে নাগরিকত্ব বিল ইস্যুকে ঠাঁই দেওয়া হবে এবং পুনরায় কেন্দ্ৰের ক্ষমতায় এলে বিলটি পাস করিয়ে নেওয়া হবে বলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ লখিমপুরে বিবৃতি দেওয়ার পরই ইউডিপি নেডার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে।
‘বিতর্কিত বিল ইস্যু নিয়ে আমরা বিজেপি নেতৃত্বাধীন নেডার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। বিশেষ করে মেঘালয় এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভূমিপুত্ৰদের প্ৰতি বিজেপি নেতৃত্বের দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাবই নেডার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার আরও একটি কারণ’। ইউডিপি-র উপ-সভাপতি অ্যালেনট্ৰি ফ্ৰাংকলিন দখর এখানে সাংবাদিকদের একথা জানান। নাগরিকত্ব বিল ইস্যুতে গত ২৯ জানুয়ারি ১১টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্ৰমে ওই বিলের বিরোধিতায় সর্বসম্মতিক্ৰমে সহমত প্ৰকাশ করা হয়েছিল। আসলে ওই বৈঠকের কয়েকদিন পরই আমরা নেডার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেই-বলেন দখর।
৬০ সদস্যের মেঘালয় বিধানসভায় দুজন সহযোগী সহ ইউডিপি-র সদস্য রয়েছেন মোট ৯ জন। রাজ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির(এনপিপি)নেতৃত্বাধীন মেঘালয় গণতান্ত্ৰিক জোট(এমডিএ)সরকার গঠনে সমর্থন দিয়েছিল ইউডিপি। বিজেপির দুজন বিধায়ক ছয় দলীয় এমডিএ জোট সরকারের অংশ।
অমিত শাহ বিজেপি ফের কেন্দ্ৰের ক্ষমতায় এলে তারা এই বিল নিয়ে এগোবে বলে অসমে যে মন্তব্য করেছেন তা ইউডিপি-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাই এই অঞ্চলের ভূমিপুত্ৰদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেন্দ্ৰীয় সরকার কোনও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করুক সেটা আমরা হতে দিতে পারি না’-বলেন ইউডিপি নেতা। উল্লেখ্য,নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬ গত ৮ জানুয়ারি লোকসভায় পাস হয়েছিল,১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের লক্ষ্যে। আফগানিস্তান,বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু,শিখ,বৌদ্ধ,জৈন,পার্শি ও ক্ৰিস্টান যারা ছয় বছরের বেশি সময় ধরে ভারতে বসবাস করেছেন তাদের নাগরিকত্ব দিতে চাওয়া হয়েছে এই বিলে।
তবে শাসক দল বিজেপি বিলটি রাজ্যসভায় পাস করাতে পারেনি,বিভিন্ন অসামরিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ও কিছু সহযোগী এর বিরোধিতা করায়।
ইউডিপি রাজ্যের এমডিএ সরকারের প্ৰতি সমর্থন বহাল রাখবে কিনা জানতে চাওয়া হলে দখর বলেন,এটা এনপিপির ওপর নির্ভর করছে। কারণ সরকার পরিচালনা করছে এই দলই। এনপিপিও বিতর্কিত বিলটিকে আইনি রূপ দেওয়ার বিরোধিতার কথা ফের উল্লেখ করেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী তথা এনপিপি সভাপতি কনরাড সাংমা রাজ্যসভায় বিল পাস হলে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দিয়েছিলেন।