সংবাদ শিরোনাম

প্ৰাক্তন অগপ মন্ত্ৰীর কংগ্ৰেসে যোগদান,ভোটের মুখে বড় ধাক্কা খেলো আঞ্চলিক দল

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে দ্বিতীয় দফা লোকসভা নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টাও হাতে নেই। অথচ নির্বাচনের মুখে মঙ্গলবার রাজ্যে শাসক বিজেপি-র শরিক দল অসম গণ পরিষদকে(অগপ)বড় ধরনের ধাক্কা খেতে হলো। দলের প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী তথা অগপ-র মরিগাঁও জেলা শাখার সভাপতি বাবুল দাস শতাধিক দলীয় কর্মী ও সমর্থককে নিয়ে কংগ্ৰেসে সামিল হন। ভোটের মুখে অগপ দলের কাছে এটা নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা।

বাবুল দাস ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে দুবার জাগিরোড কেন্দ্ৰ থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে মৎস্য মন্ত্ৰীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জাগিরোড বিধানসভা কেন্দ্ৰে তাঁর যথেষ্ট আধিপত্যও রয়েছে।

অগপ সভাপতি অতুল বরা,কার্যনির্বাহী সভাপতি কেশব মহন্ত এবং বরিষ্ঠ নেতা ফণীভূষণ চৌধুরী নতুন করে বিজেপি-অগপ আঁতাত হবার পর ফের সোনোয়াল মন্ত্ৰিসভায় সামিল হওয়ায় দলীয় হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তের খোলাখুলি সমালোচনা করেছিলেন বাবুল দাস। কিছুদিন আগে ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের(ক্যাব)বিরোধিতা করে অগপ-র তিন শীর্ষ নেতা বিজেপি জোট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তিন অগপ নেতা বলেছিলেন,‘নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় দলের অবস্থানে অচল থাকার চেয়ে মন্ত্ৰী পদ কখনোই বড় হতে পারে না। কিন্তু নির্বাচনের মুখে ওই তিন অগপ নেতা ফের বিজেপির সঙ্গে জোটে ফিরে আসেন’-ক্ষোভের সুরে বলেন দাস।

আঞ্চলিক দলটিতে মতানৈক্য এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তথা অগপ-র প্ৰতিষ্ঠাতা সভাপতি প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত এখনও ক্যাব-এর বিরোধিতায় অবিচল রয়েছেন। তাই দলীয় নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্ত থেকে তিনি নিজেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। বাবুল দাস দলবল নিয়ে কংগ্ৰেসে যোগ দেওয়ায় ১৮ এপ্ৰিল অনুষ্ঠেয় নগাঁও লোকসভা কেন্দ্ৰের নির্বাচনে এর প্ৰভাব পড়তে পারে বলে আঁচ করা হচ্ছে।