সংবাদ শিরোনাম

বাগানে চোলাইয়ের বিরুদ্ধে জোর সচেনতনা অভিযান চালানোর আর্জি এসিএমএস-এর

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ বাগান শ্ৰমিকদের মধ্যে অবৈধ দেশি মদ খাওয়ার প্ৰবণতার বিরুদ্ধে সচেতনতা অভিযান জোরদার করে তোলার জন্য অসম চা মজদুর সংঘ(এসিএমএস)ভারতীয় চা বোর্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছে। উল্লেখ্য,উত্তর পূর্বাঞ্চলে বাগান শ্ৰমিকদের সর্বোচ্চ ট্ৰেড ইউনিয়ন এসিএমএস।

সম্প্ৰতি রাজ্যের গোলাঘাট ও যোরহাট জেলার বাগান এলাকায় অবৈধ চোলাই খেয়ে ১৫০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হওয়ার পরিপ্ৰেক্ষিতেই এসিএমএস-এর তরফ থেকে এই দাবি জানানো হয়। ওই বিষ মদ কাণ্ডে শতাধিক লোক লিভার,কিডনির রোগে ভুগছেন। অনেকে হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি।

এসিএমএস-এর সাধারণ সম্পাদক রূপেশ গোয়ালা সম্প্ৰতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত টি বোর্ডের বৈঠকে ওই দাবি জানান। বোর্ড হচ্ছে কেন্দ্ৰীয় বাণিজ্য মন্ত্ৰকের অধীনস্থ একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। বোর্ডকে চা উদ্যোগের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্ৰক সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বিষ মদে নিহতদের প্ৰতি বোর্ডের বৈঠকে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। চোলাইয়ের প্ৰতি আসক্তি রদ করতে পারলেই চা শ্ৰমিকদের মধ্যে কর্মক্ষমতাও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। চোলাই খাওয়া যে স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকারক সে সম্পর্কে চা শ্ৰমিকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে এর থেকে দূরে থাকার জন্য বাধ্য করাতে জোরদার সচেতনতা অভিযান চালানো ‘অত্যন্ত জরুরি’-বলেন গোয়ালা।

সাম্প্ৰতিক বছরগুলোতে চালানো বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও সমীক্ষায় দেখা গেছে,৪০-র ঊর্ধ্ব চা শ্ৰমিকদের ৮০ শতাংশই চোলাই মদের প্ৰতি আসক্ত।

‘শিশুদেরও এই চোলাই মদে আসক্ত হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে স্কুল ছুট ছোট ছেলেরা পরিবারের সাহা্য্যে বাগানে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বাড়িতে ফিরে অভিভাবকদের চোলাই মদ খেতে দেখে তারাও খুব অল্প বয়সেই এর প্ৰতি আসক্ত হচ্ছে’। একথা বলেন ড. সাজিদুর রহমান,যিনি একসময়ে উজান অসমের বাগানে চিকিৎসার কাজে জড়িত ছিলেন।

ড. রহমান আরও বলেন,চা সম্প্ৰদায়ের মধ্যে ব্যাপক হারে দেখা দেওয়া লিভার সিরোসিস রোগের জন্য চোলাই মদই প্ৰধান কারণ। তিনি বলেন,চোলাইয়ের প্ৰতি পরিবারের পুরুষদের মাত্ৰাধিক আসক্তির জন্য সারা পরিবার প্ৰতিপালনের বোঝা শেষপর্যন্ত মহিলা চা শ্ৰমিকদের কাঁধে গিয়ে বর্তাচ্ছে।