সংবাদ শিরোনাম

বিজেপিকে কুপোকাৎ করতে কংগ্ৰেসেরব ইস্তাহারে গরিবিকে হাতিয়ার

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ ‘কংগ্ৰেস ক্ষমতায় এলে দেশের দরিদ্ৰতম পরিবারগুলি বছরে ৭২ হাজার টাকা পাবে। এই টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। সেই সঙ্গে খালি পড়ে থাকা ২২ লক্ষ সরকারি পদ পূরণ করা হবে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরেও দশ লক্ষ যুবক কাজ পাবেন’। কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্ৰকাশ করে কথাগুলি বলেন। রাহুল অভিযোগ করেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। বিজেপিকে কুপোকাৎ করতে ইস্তাহারে কংগ্ৰেস ফের গরিবকে হাতিয়ার করেছে। কংগ্ৰেস সভাপতি দুর্নীতি,বিদেশনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্ৰান্ত ইস্যুতে তাঁর সঙ্গে বিতর্কে বসতে মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।

ইস্তাহারে ঢালাও প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছে কংগ্ৰেস। ‘কংগ্ৰেস উইন ডেলিভার’ নামে একটি পুস্তিকার মাধ্যমে ইস্তাহারটি প্ৰকাশ করা হয়। ইস্তাহারে বড় ধরনের পাঁচটি প্ৰতিশ্ৰুতির কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে প্ৰথমটি হছে ন্যায় প্ৰকল্প।

ইস্তাহারে বলা হয়েছে,দারিদ্ৰ্যের বিরুদ্ধে লড়তে হতদরিদ্ৰ পরিবারগুলিকে বছরে নগদ ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ২২ লক্ষ সরকারি পদ পূরণে বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত পর্যায়ে আরও ১০ লক্ষ যুবক কর্মসংস্থান পাবে। এম এনরেগা প্ৰকল্পের অধীনে ১০০ দিনের পরিবর্তে ১৫০ দিনের কাজ সুনিশ্চিত করা হবে। ডিজিপি-র ৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে শিক্ষা খাতে। নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য প্ৰথম তিন বছর কোনও অনুমতির প্ৰয়োজন হবে না। প্ৰকাশ তিন বছর কোনও অনুমতির প্ৰয়োজন হবে না ইস্তাহার । ইস্তাহার প্ৰকাশ করে কথাগুলো বলেন রাহুল। রেলের মতো কৃষকদের জন্য একটি পৃথক বাজেট পেশ করার প্ৰতিশ্ৰুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। তিনি বলেন,দল ক্ষমতায় এলে যে সব কৃষকরা ব্যাংকে লোনের টাকা ফেরত দিতে পারেননি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে না।

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্ৰেও প্ৰতিশ্ৰুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। অসমের চা বাগান শ্ৰমিকদের উপযুক্ত পারিশ্ৰমিক ও অন্যান্য সু্যোগ সুবিধাও প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছেন কংগ্ৰেস সভাপতি। নোটবন্দি ও জিএসটি চালু হওয়ার পর থমকে যাওয়া অর্থনীতিকে ফের নতুন করে চঙ্গা করা হবে। ইস্তাহারে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির প্ৰতি বিশষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গান্ধী বলেন,ক্ষমতায় এলে আমরা প্ৰথমেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বাতিল করবো। উল্লেখ্য,ওই বিল নিয়ে সাম্প্ৰতিককালে অসম ও উত্তর পূর্বাঞ্চল জুড়ে অশান্তির ঝড় বয়ে গেছে। ইস্তাহারে ঠাঁই পেয়েছে অসমে নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়ন প্ৰক্ৰিয়াও। এনআরসি থেকে কোনও প্ৰকৃত ভারতীয়র নাম বাদ যাবে না-প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছে কংগ্ৰেস। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বিদেশি নাগরিক ও অনুপ্ৰবেশ সমস্যারও সমাধান করার কথা দিয়েছেন গান্ধী। নয়াদিল্লিতে এআইসিসির সদর দপ্তরে ইস্তাহার প্ৰকাশ কালে রাহুলের সঙ্গে ছিলেন ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী,প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিং,প্ৰিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্ৰা ও অন্যান্যরা।