গুয়াহাটিঃ দূষণ নিয়ন্ত্ৰণ বোর্ড,অসম(পিসিবিএ)গুয়াহাটির বুক চিরে বয়ে যাওয়া ভরলু নদী নিয়ে জরিপের কাজ শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে নদীর দূষণ এলাকা চিহ্নিত করে এর জল কমপক্ষেও স্নানোপযোগী করে তোলা। ন্যাশনাল গ্ৰিন ট্ৰাইবুনালের (এনজিটি)এক নির্দেশিকার প্ৰেক্ষিতেই পিসিডিএ ভরলু জরিপের কাজে হাতে দেয়। এনজিটি দেশের বিভিন্ন নদীর ৩৫১টি দূষিত এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলি নিদেন পক্ষে স্বানোপযোগী করে তোলার জন্য ব্যবস্থা নিতে সব দূষণ নিয়ন্ত্ৰণ বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে। এটাকে বাস্তব রূপ দিতে সব দূষিত নদীগুলিকে বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড(বিওডি)-এর আওতায় আনতে হবে।
এব্যাপারে অবিলম্বে অ্যাকশন প্ল্যান প্ৰস্তুত করতে এনজিটি সব দূষণ নিয়ন্ত্ৰণ বোর্ডকে বলে দিয়েছে।
কেন্দ্ৰীয় দূষণ নিয়ন্ত্ৰণ বোর্ডের(সিপিসিবি)মতে,দেশের নদীগুলির ৩৫১টি দূষিত স্থানকে পাঁচটি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচটি ক্যাটেগরি ১,২,৩,৪ ও ৫। গুয়াহাটির ভরলু নদী পড়ছে ১ নম্বর ক্যাটেগরিতে।
পিসিবিএ সূত্ৰটির মতে,বোর্ড ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর নদী পুনঃসংস্কার কমিটি গঠন করেছিল এনজিটি-র নির্দেশের পরিপ্ৰেক্ষিতে। কমিটিতে গুয়াহাটি পুর নিগম,জলসম্পদ,বন ও পরিবেশ বিভাগের প্ৰতিনিধিও রয়েছেন। বর্তমানে আরআরসি-র অধীনে ভরলু জরিপের কাজ চলছে। পিসিবিএ-সূত্ৰের মতে,এনজিটির নির্দেশ অনু্যায়ী অ্যাকশন প্ল্যান প্ৰস্তুত করার জন্য জরিপের রিপোর্ট সরকারের কাছে দাখিল করা হবে।