সংবাদ শিরোনাম

মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী ঘোষণা করলো রাষ্ট্ৰপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ

Sentinel Digital Desk

নিউইয়র্কঃ রাষ্ট্ৰপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ(ইউএনএসসি)বুধবার পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ(জেইএম)প্ৰধান মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় জওয়ানদের কনভয়ে ভয়ঙ্কর হামলা চালানোর প্ৰায় আড়াই মাস পর জৈশ-ই প্ৰধান মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী হিসেবে ঘোষণা করে(ইউএনএসসি)। মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী ঘোষণায় আখেরে ভারতের কূটনৈতিক জয় হলো। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে,‘সঠিক দিশায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’।

বিদেশ মন্ত্ৰক(এমইএ)বলেছে,‘ভারতের অবস্থানের প্ৰতি সমর্থন ব্যক্ত করে এবং নিরাপত্তা পরিষদের সেংশন কমিটির সদস্যরা পুরো তথ্য খতিয়ে দেখে আজহারের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়’। মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী ঘোষণার প্ৰস্তাবটি চিন চারবার আটকে রাখে টেকনিক্যাল সমস্যার কথা বলে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্ৰ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰ,ব্ৰিটেন,ফ্ৰান্স লাগাতার চাপ সৃষ্টি করায় অবশেষে চিন ওই ‘টেকনিক্যাল হোল্ড’ প্ৰত্যাহার করে নেয়। এরপরই নিরাপত্তা পরিষদের সেংশন কমিটি মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী ঘোষণা করে। মাসুদ এখন নিরাপত্তা পরিষদের সেংশন লিস্টে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী হিসেবে চিহ্নিত হলো। রাষ্ট্ৰপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্ৰতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন টুইট করে একথা জানিয়েছেন।

আজহার মূলত একজন পাকিস্তানি নাগরিক। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতে মাসুদ জৈশ-ই-মহম্মদ নামে সন্ত্ৰাসী সংগঠনটি প্ৰতিষ্ঠা করেছিল। আজহার বেশকিছুদিন ভারতের জেলে বন্দি ছিল। কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি অভিমুখী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই করে জঙ্গিরা আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যায়। বিমানে ১৬৬ জন যাত্ৰী ও ক্ৰুকে তারা পণবন্দি করে রাখে। ছিনতাই হওয়া বিমানের ১৬৬ জন পণবন্দির মুক্তির বিনিময়ে আজহারকে জেল থেকে ছাড়তে বাধ্য হয়ে পড়েছিল ভারত সরকার। এরপর থেকে এই জঙ্গি সংগঠন ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর জৈশ জঙ্গিরা ভারতের সংসদে হামলা চালায়। চলতি বছরের ১৪ ফেব্ৰুয়ারি আত্মঘাতী জৈশ জঙ্গি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর বিশাল কনভয়ে মারণ হামলা চালালে কমপক্ষেও ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্ৰাণ হারান।